আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরাতে চাইছেন দুই দেশের বাহিনীর কমান্ডাররা: চিনের বিদেশমন্ত্রক
গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা বাহিনীর সংঘর্ষের পর এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন দুই দেশের উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আলোচনা ও পরিস্থিতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চলছে। সীমান্তে উত্তেজনার পারদ স্থিমিত করতে সোমবার আলোচনা হয়েছে দুই দেশের সেনা কমান্ডারদের। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান।
এর আগে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছিল যে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রক্রিয়ায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দুই বাহিনীর কমান্ডাররা। এবার চিনের তরফ থেকে সরকারিভাবে এই আলোচনায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা জানান হল।
গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা বাহিনীর সংঘর্ষের পর এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন দুই দেশের উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকরা। চিনের বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য অনুযায়ী, "আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে দুই দেশ। নিজেদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।"
সীমান্ত এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য দুই দেশের বাহিনী উপযুক্ত পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান ঝাও। তিনি জানান, দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের মধ্যে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। নিজেদের বাহিনী ডিসএনগেজমেন্টের মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এদিন তিনি অবশ্য এটাও মনে করিয়ে দেন যে, এর আগেও 6 জুন ভারত-চিন সেনার আলোচনায় সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : পুলওয়ামায় দুই জঙ্গিকে খতম করে শহিদ হলেন জওয়ান