নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়। যে হামলার দায় নিয়েছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ওই পুলওয়ামাতেই সেনার গুলিতে নিহত হয়েছে জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো। তবে ঘটনাটি গত মার্চের ১১ তারিখ ঘটে। সেনার অভিযানে ওই হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছিল পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার মূলচক্রী মুদাসির আহমেদ খান। সেই অভিযানেই নিহত হয়েছে মহম্মদ উমর ওরফে খালিদ।


সেনার তরফে জানা গিয়েছে, পরে উমরের পরিচয় জানা যায়। সে যে পাকিস্তানের নাগরিক, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়। উমর ও তার সঙ্গীরা জম্মু-কাশ্মীরের লেথপোরায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল।


আরও পড়ুন: বিজেপির হয়ে প্রচারের অভিযোগ, গভর্নর কল্যাণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতির!


প্রসঙ্গত, ভারতের হাতে ধরা পড়েও ছাড়া পেয়ে যায় মাসুদ আজহার। তাকে ছাড়াতে ১৯৯৯ সালের একেবারে শেষে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অপহরণ করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। বিমানযাত্রীদের প্রাণের বিনিময়ে মাসুদ আজহারকে ছাড়তে বাধ্য হয় ভারত।


এর পর থেকে মাসুদ পাকিস্তানে রয়েছে। সেখান থেকেই ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার ছক কষেছে। পাঠানকোট, উরি, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলাও করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। মাসুদের একাধিক ভাইপো, ভাই ও আত্মীয় কাশ্মীরে ঢুকেছে একাধিকবার। আত্মগোপন করে থেকে হামলাও করেছে।


আরও পড়ুন: রাজনাথের বিরুদ্ধে লখনউ আসনে বিরোধী প্রার্থী শত্রুঘ্ন-পত্নী পুনম : সূত্র


আবার ভারতীয় সেনার একাধিক অভিযানে মাসুদের একাধিক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মাসুদের বেশ কয়েকজন ভাইপোও ছিল বলে খবর এসেছিল। সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি নাম।


১১ মার্চ যে অভিযানে মাসুদের ভাইপো করে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা, সেই অভিযানে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিঘাঁটি থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন: নিজের হাতে গড়া জেট এয়ারওয়েজ ছাড়লেন, বিদায়বেলায় আবেগপ্রবণ নরেশ গোয়েল


কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ১১ মার্চ যদি উমরকে মেরে ফেলা হয়, তাহলে এতদিন পর কেন বিষয়টি সামনে এল? জানা গিয়েছে, বুধবার উমরের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল জইশের তরফে। তার পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।