নিয়ম শিথিল করে কৃষ্ণগঙ্গা নদীতে ভেসে আসা পাক বালকের দেহ ফেরাল সেনা
ফের মানবিক ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে গুরেজ সেক্টরে কৃষ্ণগঙ্গা নদীতে ভেসে এসেছিল সাত বছরের বালকের মৃতদেহ। কোনও জটিল আইন কানুনের রাস্তায় না হেঁটে তা পাক সেনার হাতে তুলে দিলেন সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের মানবিক ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে গুরেজ সেক্টরে কৃষ্ণগঙ্গা নদীতে ভেসে এসেছিল সাত বছরের বালকের মৃতদেহ। কোনও জটিল আইন কানুনের রাস্তায় না হেঁটে তা পাক সেনার হাতে তুলে দিলেন সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরা।
আরও পড়ুন-নাগাড়ে বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা, জারি রেড অ্যালার্ট
সেনাসূত্রে খবর, গিলগিট বালটিস্তান এলাকার মিনি মার্গ এলাকায় নীলম(ভারতে নাম কৃষ্ণগঙ্গা)নদীতে ডুবে যায় আবিদ সেখ নামে ওই বালক। এরপর কয়েক কিলোমিটার ভেসে গুরেজ সেক্টরে এসে পৌঁছায় সেই মৃতদেহ। নদীর বোল্ডারের সঙ্গে ক্রমাগত ধাক্কায় সেটি বিকৃতও হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে মৃতদেহটিতে একাধিক দাগ ছিল এবং তাতে পচন ধরে গিয়েছিল।
কাশ্মীরে ১৫ নম্বর কর্পসের জেনারেল অফিসার কমান্ডার জেনারেল কেজেএস ধিলোঁ জানিয়েছেন, গুরেজ সেক্টরে ওই দেহ যাতে পাক সেনার হাতে তুলে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাক সেনার দাবি ছিল টিটওয়াল সেক্টরে ওই দেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। কারণে এখানেই দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তর হয়। কিন্তু তাকে গুরেজ সেক্টরেই হস্তান্তর করা হয়। এতে দ্রুত মৃতদেহ হাতে পায় আবিদের পরিবার।
আরও পড়ুন-নারদা মামলায় এবার কলকাতা পুরসভারয় নজর সিবিআইয়ের
উল্লেখ্য, মৃতদেহটি ভারতীয় জওয়ানদের হাতে আসতেই তা পাকিস্তানকে ফেরত নিতে বলা হয়। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি পাক সেনা। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিহত আবিদের বাবা-মা একটি ভিডিও পোস্ট করে ছেলের মৃতদেহ ফেরানোর আবেদন করেন ইমরান খানের কাছে। এরপরই পাক সেনা যোগাযোগ করে ভারতীয় সেনার সঙ্গে। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার সেই দেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।