ওয়েব ডেস্ক: অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে নোট বাতিলের সিদ্ধান্তও যে আর্থিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছে তা মানলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তবে, তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে বিশ্বের যা পরিস্থিতি, তাতে সাত শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি দেশের পক্ষে যথেষ্ট ভালো। রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - সকলেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নোট বাতিলের প্রভাবে কি থমকে যাবে আর্থিক বৃদ্ধির হার? বিরোধীরা বলছিলেন, হ্যাঁ। সরকার বলছিল, না। পরিসংখ্যান সামনে আসতে দেখা গেল নোট বাতিলের পর আর্থিক বিকাশে হার এক ধাক্কায় কমে গেছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।



২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে শেষ ৩ মাসে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। নোট বাতিলের পর ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের শেষ ৩ মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশে। শেষ ৩ মাসে খারাপ রেজাল্ট প্রভাব ফেলেছে গোটা বছরের হিসাবেই। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১ শতাংশে।



৮ নভেম্বর মোদীর ঘোষণায় রাতারাতি বাতিল হয়ে যায় ৮৬ শতাংশ নোট। বিরোধীদের অভিযোগ, তার জেরেই থমকে যায় অর্থনীতি। রাহুল গান্ধীর টুইট, GDP কমছে। বেকারি বাড়ছে। গোড়ার গলদ থেকে মানুষের চোখ সরাতে নানা ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার নোট বাতিলের ঘোষণা করতেই তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন এর ফলে দেশে ব্যাপকহারে কর্মহানি হবে, উত্‍পাদনও কমবে। সেই ধারণা এখন সত্য প্রমাণ হচ্ছে।
GDP কমেছে প্রায় ২%। কৃষি ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। যাঁরা দেশকে এই সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিলেন তাঁদের এ নিয়ে কী বলার আছে?



বিরোধীদের চাপের মুখে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দাবি করেন, বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতি-সহ অন্যান্য কারণে কমেছে আর্থিক বৃদ্ধি। তবে, নোট বাতিলের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারেননি তিনি। আর্থিক বৃদ্ধি কমার খবর আসার পরই এ দিন সকালে নীচে নেমে যায় সেনসেক্স-নিফটি। (আরও পড়ুন- নতুন ১ টাকার নোট আক্ষরিক অর্থেই অনন্য)