নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীকে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম কারিগর অরুণ জেটলি। নরেন্দ্র মোদীর আজকের নরেন্দ্র মোদী হয়ে ওঠার নেপথ্যে অনেকটাই ভূমিকা রয়েছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সালটা ২০০২। গুজরাট হিংসা দেশের অন্যতম চর্চিত বিষয়। তত্কালীন মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিল দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজধর্মের কথা স্মরণ করিয়েছন খোদ প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। কিন্তু, তখন একজনই ছিলেন, যিনি বাজপেয়ীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এটা সঠিক সময় নয়। তিনি আর কেউ নন। অরুণ জেটলি।



সাল ২০০৭। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর তখতে নরেন্দ্র মোদী। উন্নয়নের অন্যতম মুখ যে এই মানুষটাই, সেটা সামনে আনতে কার্যত ময়দানে নেমে পড়েন জেটলি। ব্র্যান্ড মোদী তৈরির কাজটা শুরু হয় সেখান থেকেই।


সাল ২০০৯। আডবাণীর নেতৃত্বে লোকসভা ভোটে লড়াই করে বিজেপি। কিন্তু, ঘরে এল না ফসল। আর তখন থেকেই ধীরে ধীরে ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়। 


সাল ২০১২।  এগিয়ে আসছে আরও একটা লোকসভা ভোট। আডবাণীকে মুখ করে এগোলে যে সাফল্য আসবে না, সেটাই দলের মধ্যে সুকৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজটা শুরু করে দেন জেটলি। পাশে টানলেন সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং, বেঙ্কাইয়া নায়ডু, শিবরাজ সিং চৌহানের মতো নেতাদের। সঙ্গে আরও জোরদারভাবে মোদী ব্র্যান্ডকে তুলে ধরার কাজও চলছে। উন্নয়নের কাণ্ডারি যে নরেন্দ্র মোদী-ই, সেটাই দিল্লির রাজনৈতিক ময়দানে মেলে ধরতে শুরু করেন তুখোড় রাজনীতিবিদ জেটলি।


সাল ২০১৩। গোয়ায় সাংবাদিক বৈঠক করে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করলেন রাজনাথ সিং। পাশে সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলি।


সাল ২০১৪। ফল মিলল হাতে নাতে। বিপুল সাফল্য নিয়ে ক্ষমতায় এলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে তখন মোদী, মোদী জয়ধ্বনি। গুজরাট হিংসাকে ইতিহাসের পাতায় ঠেলে দিল ব্র্যান্ড মোদী। আর গুজরাট থেকে দিল্লির মসনদে তাঁকে বসানোর নীরব কারিগরকে কখনই ভোলেননি নরেন্দ্র মোদীও। অর্থ, প্রতিরক্ষা, তথ্য ও সম্প্রচারের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেন জেটলিকে।


জেটলির জমানাতেই বিমুদ্রাকরণ ও পণ্য পরিষেবা কর চালুর মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী সরকারের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠকেও নিয়মিত দেখা গিয়েছে জেটলিকে। কখনও ব্লগের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন সরকারের কাজকর্ম। আর তাই জেটলির প্রয়াণের পর মোদী টুইট করেছেন, 'মূল্যবান বন্ধুকে হারালাম।'   


আরও পড়ুন- পাকিস্তানের চেষ্টা জলে, মোদীকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিলেন আমিরশাহির যুবরাজ