অগ্নিগর্ভ অরুণাচল, উপজাতিদের স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি দানের প্রস্তাব বাতিল রাজ্য সরকারের
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইটানগরে কারফিউ জারি করা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে পিছু হঠল অরুণাচল প্রদেশ সরকার। রবিবার উপ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পরই ৬ উপজাতি ও গোর্খাদের স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতিদানের প্রস্তাব প্রত্যাহার করল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে বিমান অপহরণের চেষ্টা, বায়ুসেনার গুলিতে নিহত ছিনতাইকারি
অরুণাচলের আদিবাসী নয় এমন উপজাতি ও গোর্খাদের রাজ্যে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। রবিবার রাস্তায় নেমে ভাঙচুর চালায় শয়ে শয়ে মানুষ। সরকারি সম্পত্তি, গাড়ি ভাঙচুর করে উন্মত্ত জনতা। রাজ্যের সচিবালয়ে ঢোকার চেষ্টা করে ক্ষুব্ধ জনতা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী চাওমা মিয়েনের বাড়ি। তিনি অবশ্য সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। হামলা করার চেষ্টা হয় মুখ্যমন্ত্রী প্রেম খান্ডুর বাড়িতেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইটানগরে কারফিউ জারি করা হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, অরুণাচল প্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেও ওইসব উপজাতিদের স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। শান্তির লক্ষ্যে সবারই শান্ত থাকা উচিত। ইতিমধ্যেই এই হাঙ্গামায় কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন-কাশ্মীরের কুলগামে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, শহিদ ১ পুলিস আধিকারিক, খতম ৩ জঙ্গি
উল্লেখ্য, যে ৬ উপজাতিকে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে তারা বসবাস করেন নামসি ও চ্যাংল্যাং জেলায়। বহুদিন ধরে সেখানে থাকা সত্ত্বেও তারা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা নন। রাজ্যের যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে বা কোনও উপজাতি এলাকায় স্পেশাল পারমিট ছাড়া থাকতে গেল এই স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতির প্রয়োজন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওইসব উপজাতি অসমের বাসিন্দা। পাশাপাশি ওই স্বীকৃতি দেওয়া হলে রাজ্যের আদি বাসিন্দাদের স্বার্থহানি হবে।