জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাদককাণ্ডে জড়িয়ে গিয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ জেলে কাটাতে হয়েছিল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। ওই মাদকের সঙ্গে বিদেশের মাদক পাচার চক্রের সম্পর্কে জুড়ে দিয়েছিল কোনও কোনও মহল। এনিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বলিউড-সহ গোটা দেশ। পাশাপাশি এনসিবি প্রধান সমীর ওয়াংখাড়েকে নিয়ে শিবসেনার সঙ্গে কেন্দ্রের চরম টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। আরিয়ান খানের মাদক মামলায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তদন্তে একাধিক অসংগতি দেখা দিয়েছে। এমনকি ওই তদন্তে এনসিবি-র ৭ অফিসারের ভূমিকাও বেশ সন্দেহজনক। এমনটাই উঠে এসেছে এনসিবি-র অভ্যন্তরীণ তদন্তে। এমনটাই সূত্রের খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শিবপুরকাণ্ডে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন, জালিয়াতি করতে অ্যাপটি নিয়ন্ত্রণ হতো নাইজিরিয়া থেকে!  


এবছর মে মাসে ওই মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে সব অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। আদালতে এনসিবি মাথা হেঁট করে কবুল করতে বাধ্য হয় তাদের কাছে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ও জোরাল কোনও প্রমাণ নেই। সেবার আদালতে মুখ পুড়েছিল এনসিবি-র। এবার তদন্ত গাফিলতি ও নিজের অফিসারদের সন্দেহজনক আচরণে ফের মুখ কালো হল এনসিবির।


আরিয়ান খানের মাদক পাচার মামলায় তদন্তে গাফিলতি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে এনসিবি। কারণ এনিয়ে একাধিক অভিযোগে জেরাবর হয়েছিল এনসিবি। বাধ্য হয়েই ভিজিল্যান্সের রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল তদন্ত সংস্থা। দেখা গিয়েছে তদন্তে বহু গোলমাল রয়েছে। এমনকি সংস্থার কয়েকজন আধিকারিকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।


শাহরুখ পুত্রের মাদক মামলায় মোট ৬৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদের অনেকেই ৩-৪ বার তাদের বয়ান বদল করেছে। এমনকি মামলায় টাকা আদানপ্রদানের অভিযোগও উঠেছিল। উল্লেখ্য, একটি ক্রুইজ শিপ থেকে আরিয়ান-সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিসের দাবি ছিল আরিয়ান খানের কাছ থেকে মাদকও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেসব অভিযোগ ধোপে টেকেনি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)