Sheikh Hasina Visits India: মোদী যতদিন রয়েছেন তিস্তা জলবন্টন-সহ সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে: হাসিনা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাদের জন্য় বড় ঘোষণা করলেন শেখ হাসিনা। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনা শহিদ বা গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাদের সন্তান সন্ততিদের মুজিব স্কলারশিপ দেওয়া হবে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দু'দেশের মধ্যে যত সমস্য়াই থাকুক তা আলোচনার মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হবে। মোদীজির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অন্য মাত্রা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি মউ সাক্ষরিত হয়। অন্য অনেক বিষয়ের মধ্যে রয়েছে অসমের কুশিয়ারা নদীর জলবন্টন চুক্তি। বৈঠক শেষ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সীমান্ত সমস্যা, জলবন্টন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ওই লড়াইয়ের পর ও ভারত ও বাংলাদেশ মৈত্রীর বাতাবরণে বসবাস করছে। আমাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মোদীজির নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- Sheikh Hasina India Visit: জলবণ্টন-সহ জরুরি মৌ স্বাক্ষরিত হল মোদী-হাসিনা ভার্চুয়াল বৈঠকে
প্রতিবেশী হিসেব ভারতের প্রশংসা করতে গিয়ে হাসিনা বলেন, আবার বলতে চাই, বাংলাদেশের কাছে ভারতই হল একমাত্র ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান প্রতিবেশী। দুদেশের সম্পর্ক এখন বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি রোল মডেল। দুদেশের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে গত কয়েক দশকে অনেক উন্নতি করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। পড়ে থাকা বহু সমস্যার সমাধান ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে দু'দেশ। তিস্তা জলবন্টন চুক্তিও খুব শীঘ্রই সাক্ষরিত হয়ে যাবে। কুশিয়ারা নদীর জলবন্টন সমস্যা সমাধানের জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। বাকী ৫৪ টি নদীর ক্ষেত্রেও এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী মোদী রয়েছেন আশাকরি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাদের জন্য় বড় ঘোষণা করলেন শেখ হাসিনা। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনা শহিদ বা গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাদের সন্তান সন্ততিদের মুজিব স্কলারশিপ দেওয়া হবে। আগামিকাল সেই ঘোষণ করার কথা জানালেন শেখ হাসিনা। বুধবার বাংলাদেশো ভারতের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও মিলিত হবে। দুদেশের সমৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সহমত হয়েছি। ১৯৭৫ সালে যখন আমরা বাবা-মাকে-ভাইকে হারিয়েছিলাম তখন আমরা দুই বোন এই ভারতেই আশ্রয় পেয়েছিলাম। আমাদের পরিবারের আরও যারা আপনজন হারিয়েছিলাম তারা এখানেই আশ্রয় পেয়েছিলাম। অনেক সমস্যার সমাধান আলোচনা করে সমাধান করেছি। আমাদের সম্পর্ক দক্ষিণ দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।