জোরহাটে বর্ষীয়ান চিকিত্সককে পিটিয়ে মারল উন্মত্ত জনতা, গ্রেফতার ২১
ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনার নিন্দা করেছে পশ্চিমবঙ্গ চিকিত্সক ফোরাম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সক নিগ্রহের পর এবার অসমে এক বর্ষীয়ান চিকিত্সককে পিটিয়ে মেরে ফেলল উন্মত্ত জনতা। অসমের জোরহাটের ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার অসমে বনধ ডাকল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আন্দোলেন নেমেছেন রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তাররাও।
আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ল লরি, গঙ্গারামপুরে ভোররাতে মৃত্যু ৪ জনের
শনিবার জোরহাটে একটি চা বাগানে ৭৩ বছর বয়সী চিকিত্সক দেবেন দত্তকে পিটিয়ে মারে জনতা। এদিন টেওক চা বাগান সংলগ্ন একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না দেবেনবাবু।
জোরহাটের ডেপুটি পুলিস কমিশনার রোশনি কোরাতি সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘সোমরা মাজি নামে এক চা বাগান শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে গোটা ঘটনার সূত্রপাত। শনিবার দুপুরে ওই শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়। সে সময়ে হাসপাতালে ছিলেন না ডাক্তার দত্ত। ছিলেন না হাসাপাতালের ফার্মাসিস্টও। নার্স ওই শ্রমিককে স্যালাইন দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই শ্রমিকের। তার পরেই ওই চিকিত্সকের ওপরে হামলা করে শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন-আজই কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করছেন ভারতীয় কূটনীতিক
এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতালে আসেন ডা দেবেন দত্ত। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রবল মারধর করে তাঁকে একটি ঘরে তালা দিয়ে দেয়। পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনার নিন্দা করেছে পশ্চিমবঙ্গ চিকিত্সক ফোরাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এলাকার মানুষের সেবার জন্য ডাক্তার দত্ত তাঁর সারা জীবন ব্যয় করেছেন। অবসর নেওয়ার পরও তিনি হাসপাতালে কাজ করছিলেন। তার মূল্য দিল এলাকার মানুষ।