নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালি যুবক খুনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতরা আলফার নরমপন্থী নেতা বলে জানা গিয়েছে। গোয়াহাটির পানবাজার থেকে  গ্রেফতার করা হয়েছে মৃণাল হাজারিকাকে। আর ধৃত জিতন দত্ত ধরা পড়েছে গৌরিসাগরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসম পুলিস সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে হিন্দু বাঙালিদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন মৃণাল হাজারিকা। জিতেন দত্তের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে।        


বৃহস্পতিবার রাতে অসমের তিনসুকিয়া জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ৫ বাঙালি যুবকের। ঘটনায় আলফা জঙ্গিরা জড়িত বলে জানতে পেরেছে অসম সরকার। 


ঘটনায় পুলিসের যোগ থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সহদেব। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, যে জায়গায় ৫ জনেক গুলি করা হয় সেখান থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরেই রোপ পুলিস প্রহরা থাকে। বৃহস্পতিবার তা ছিল না। চাইরালি বলে সেই জায়গায় পুলিস এদিন ডিউটিই করেনি। এমনকি গুলি চালনার পর পুলিসকে বারবার ডাকা হলেও তারা আসেনি। তাদের ফোন সুইচ অফ ছিল। পুলিসও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়়িত। তা না হলে রোজই প্রহরা দেয়, কালই কেন এল না?


ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সহদেবের এক আত্মীয় ও বন্ধুরা। তাকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। তবে ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। তিনি গড়িয়ে পড়ে যান একটি গর্তে। এতেই তার প্রাণ বাঁচে। পরে সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে তিনি সবাইকে খবর দেন। তিনি গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন জি ২৪ ঘণ্টাকে।   


ঘটনার খবর পেয়েই টুইটে সোচ্চার হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার প্রতিবাদে টুইটারে তাঁর প্রোফাইল ছবি কালো করে দিয়েছেন তিনি। টুইটে মমতা লেখেন, অসম থেকে ভয়াবহ খবর পাচ্ছি। তিনসুকিয়ায় বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। NRC-র জেরেই কি এই হত্যাকাণ্ড? 


আরও পড়ুন- লোকসভায় রাজ্যে দুরন্ত উত্থান বিজেপির, নিশ্চিহ্ন বাম-কংগ্রেস, আভাস সমীক্ষার