অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক ছিল ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। সেই ছকেই এগোচ্ছিলেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি নেতাদের প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশ গিয়েছিল। এরাজ্যেও তেমন নির্দেশ পেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষরা। সেইমতো নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের ভোট বিপর্যয় সব অঙ্ক গুলিয়ে দিল। এখন প্রশ্ন উঠে গেল, আদৌ কি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে? নাকি পিছিয়ে যাবে? 


শিয়রে লোকসভা ভোট। ঠিক তার আগেই নক্ষত্রপতন। গত সাড়ে চার বছরে ছুটে চলছিল  বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া। সেই ঘোড়াই হোঁচট খেল। আর হোঁচট বলে হোঁচট! একেবারে চিত্পাত্। এমন দিন যে আসবে তা আশা করেনি বিজেপির সমর্থককুল। কিন্তু গণতন্ত্রে জনতাই জনার্দন। বিজেপির এমন মরা কোটালে স্বাভাবিকভাবেই সঞ্জীবনী সুধা পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস কর্মীদের উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছে এই জয় কতটা দরকার ছিল। উজ্জীবিত কংগ্রেস, সঙ্গে বিরোধী মহাজোট-২০১৯-এর আগে কপালের ভাঁজ চওড়া করল মোদী-শাহের। গোবলয়েই যদি দলের এমন  হাল হয়, তা ভারতের অন্যপ্রান্তে কী হবে! ভেবে আকুলপাথারে বিজেপি নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটে কবে যাওয়া হবে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। ২০০৪ সালে লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার দাম চোকাতে হয়েছিল অটলবিহারী বাজপেয়ীকে। ফলে ভোট এগিয়ে আনা বা পিছিয়ে দেওয়া একপ্রকার গ্যাম্বেল। 


সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ভোটের নির্দেশিকা জারি করে দিত নির্বাচন কমিশন। সেই হিসেবে বাংলায় ভোটগ্রহণ মার্চের শেষ সপ্তাহে। বাংলার বিজেপি নেতাদের ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভোট কবে? তা নিয়েই সংশয়ে বিজেপি শিবির। ফেব্রুয়ারি ভোটে গেলে লাভ নাকি রণকৌশল রচনায় আর একটু সময় নেওয়া উচিত- আপাতত কয়েকদিন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ব্যস্ত থাকবে বিজেপি। 


আরও পড়ুন- পাঁচ রাজ্যের ধাক্কায় বঙ্গে সভা বাতিল মোদীর, গড়াবে তো রথের চাকা?