নিজস্ব প্রতিবেদন: গুজরাটের নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গান্ধীকে পৈতেধারী হিন্দু হিসেবে তুলে ধরেছিল কংগ্রেস। রাজস্থানে ভোটের আগে পুষ্করের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে নিজের গোত্রও জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু কীভাবে ফিরোজ খানের নাতির কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ ও গোত্র দত্তাত্রেয় হতে পারে? সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তার জবাব দিতে দিয়ে পাল্টা নরেন্দ্র মোদীর হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, হিন্দুত্বের জ্ঞান নেই নরেন্দ্র মোদীর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজস্থানের সভায় রাহুল গান্ধী বলেন,''হিন্দুত্বের সারাংশ কী? গীতায় কী বলা রয়েছে? সকলের মধ্যেই রয়েছে জ্ঞান। চারপাশে রয়েছে জ্ঞান। প্রতিটি জীবিতের কাছেই রয়েছে জ্ঞান। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেন, অথচ হিন্দুত্বের আসল কথাই জানেন না। কী ধরনের হিন্দু উনি''?



রাহুলের বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির খোঁচা, কংগ্রেসের কাছ থেকে গীতার কথা শুনতে হবে। গুজরাটে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় থেকেই 'নরম হিন্দুত্বে'র রথে সওয়ার হয়েছেন রাহুল গান্ধী। মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। নিজেকে শিবভক্ত হিসেবেও দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। এমনকি কৈলাস মানসরোবরযাত্রাও সেরে ফেলেছেন। সোমনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর রাহুলের ধর্মীয় পরিচিতি নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কংগ্রেস দাবি করেছিল, কংগ্রেস সভাপতি পৈতেধারী হিন্দু। রাজস্থানে ভোটের আগে রাহুলের গোত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্র। তিনি জানতে চান, রাহুল গান্ধী ভ্যাটিকান গোত্রের ব্রাহ্মণ নাকি ইটলাস গোত্র? রাহুল অবশ্য প্রতিটি সভাতেই বলে যাচ্ছেন, হিন্দুত্ব নিয়ে বিজেপির চেয়ে বেশি জানেন তিনি।       


মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় নিজের গোত্র বলা রীতি সনাতনী সংস্কৃতিতে। দিন কয়েক আগে পুষ্করে রাহুল নিজের পরিচয় দিয়েছেন, কোল (কাশ্মীরি) ব্রাহ্মণ এবং দত্তাত্রেয় গোত্র। পুষ্করের পূজারীও জানিয়েছেন, রাহুলের গোত্র দত্তাত্রেয়। তিনি কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ। ইলাহাবাদের নেহরের ধারে থাকতেন। সে জন্য নাম পদবী নেহরু। পুজো দেওয়ার পর রাহুল গান্ধী লেখেন, ''আমি রাহুল গান্ধী, শ্রী রাজীব গান্ধীর পুত্র, ২৬-১১-২০১৮  সোমাবার পুষ্কর দর্শন ও পুজো-অর্চনা করতে এসেছি। আমাদের কূল পুরোহিত দীনানাথ কোলের হাত দিয়ে পুজো করিয়ে মন প্রসন্ন হয়ে উঠেছে। ভারত তথা বিশ্বের শান্তির কামনা করছি''।  


১৯৪৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ব্রাহ্মণদের প্রাধান্য ছিল। তবে ধীরে ধীরে রাজস্থানের রাজনীতিতে ব্রাহ্মণদের প্রতিপত্তি খর্ব হয়েছে, সে কারণেই কি ভোটের আগে নিজের ব্রাহ্মণ পরিচয় প্রকাশ করে দিলেন রাহুল গান্ধী, উঠছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন- মাঠ অমিল, কোচবিহারে ধানক্ষেতে রথযাত্রার সভা অমিত শাহের