নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল। আর সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের।মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, রাজ্যের নেতানেত্রীরা আছেন বটে। তবে,লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই ভোটে লড়াইটা আসলে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর। ভোটও হচ্ছে একাধিক জাতীয় ইস্যুতে, যা কিনা গোটা ভারতেই এখন রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে। মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রল এবং ডিজেলের চড়া দাম, আচ্ছে দিন-কর্মসংস্থান, নোটবন্দি-জিএসটি, টাকার দামে পতনের সঙ্গে যোগ রাফাল বিতর্ক। রয়েছে সিবিআই-আরবিআইয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগও। রাম মন্দির থেকে শুরু করে বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের তাণ্ডব।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তেলেঙ্গানা বিধানসভায় আসন ১১৯। গত বিধানসভা নির্বাচনে ৬৩ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে টিআরএস। রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন চন্দ্রশেখর রাও। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই হয় বিধানসভা নির্বাচন। দুই ভোটেই দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস। তৃতীয় স্থানে টিডিপি। রাজ্যে এবার টিআরএসের সঙ্গে কংগ্রেস-টিডিপি জোটের দ্বিমুখী লড়াই। ভোট-ময়দানে রয়েছে সিপিএম-বিএসপি সহ আটাশ দলের বহুজন বামফ্রন্টও। বৃহত্তর হায়দরাবাদের চব্বিশ আসনে এমআইএম এবং রাজ্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বড় ফ্যাক্টর। 


তেলেঙ্গানার ভোটে জাতীয় ইস্যুর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বিভিন্ন স্থানীয় বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের কাছে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া সামাল দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। কৃষি সমস্যায় চার বছরে প্রায় ৪ হাজার কৃষকের আত্মহত্যার অভিযোগ। অভিযোগ যথেষ্ট ক্ষতিপূরণ ছাড়া জমি নেওয়ার। এসবই ভোটের ইস্যু করছে বিরোধীরা। ক্ষমতায় এলে একশো দিনের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। ভোটারদের মন জয়ে কৃষি ঋণ মকুব, সেচের জল, বেকার ভাতা নিয়ে প্রতিশ্রুতি টিআরএসেরও।


রাজস্থান বিধানসভার ভোটগ্রহণ ২০০টি আসনে। মরুরাজ্যে কংগ্রেস-বিজেপির দ্বিমুখী লড়াই। তবে, দলিত অধ্যুষিত ২৫টি আসনে বসপার নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু, মায়াবতী 'একলা চলো' নীতি নেওয়ায় ভোট কাটাকাটির অঙ্ক চিন্তায় রেখেছে কংগ্রেসকে। ভোটের ময়দানে রয়েছে বাম-আরএলডি-জেডিএস-সহ সাত দলের জোট লোকক্রান্তি মোর্চাও। 


গত বিধানসভা নির্বাচনে ১৬৩টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। লোকসভা ভোটে প্রবল মোদী হাওয়ায় রাজ্যে ১৮০ আসনে এগিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে এবার বিজেপির পক্ষে খেলা অত সহজ নয়। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই রাজস্থানে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। কারণ, গত ২৫ বছরে কোনও মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে পরপর দু'বার ক্ষমতায় আসতে পারেননি। বসুন্ধরা ও তাঁর ছেলে দুষ্মন্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, পলাতক ললিত মোদীর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ। গজদন্ত মিনারে বসে রাজ্য চালানোর অভিযোগে বসুন্ধরার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাকর্মীদের একাংশই ক্ষুব্ধ। রসুনের দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষকদের ক্ষোভ, আত্মহত্যা। এসবই ভোটের ইস্যু করছে বিরোধীরা।  অন্যদিকে, মোদীর আমলে গত চার বছরের উন্নয়নকেই ইস্যু করছে বিজেপি। 


নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ২২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি রাজ্যেই জয়ী হয় বিজেপি। অসম, বিহার, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা দখল করে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি। কর্নাটক এবং পঞ্জাব, পুদুচেরিতে জয়ী হয় কংগ্রেস। বাংলা দখল করে তৃণমূল। কেরল বাম, তামিলনাড়ু এডিএমকে দখল করে। দিল্লিতে জয়ী হয় আপ। জম্মু-কাশ্মীরে এখন রাজ্যপালের শাসন।


আরও পড়ুন- মাত্র ৩,৯৯৯ টাকায় ১৯ ইঞ্চির এলসিডি টিভি এল ভারতীয় বাজারে, কীভাবে পাবেন?