করোনার থাবা; ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে চাকরি হারাতে পারেন ১.৫ লাখ কর্মী, মত বিশেষজ্ঞদের
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে ছোট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ওপরে
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় গোটা দুনিয়াতেই চলছে লকডাউন। ফলে উত্পাদন বন্ধ, পর্যটন বন্ধ, অন্যান্য ব্যবসাও বন্ধ। এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে কাজের বাজারে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষকরে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে যাঁরা কাজ করেন তাদের মধ্য বহু লোকের কাজ হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। সংখ্যাটা ১.৫ লাখও হতে পারে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য, গ্রেফতার অসমের বিধায়ক
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে ছোট তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার ওপরে। এই মতের সঙ্গে সহমত CIEL HR Services এর সিইও আদিত্য নারায়ণ মিশ্র। ভারতে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে কাজ করেন ৪০-৪৫ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে ছোট সংস্থায় রয়েছেন ১০-১২ লাখ কর্মী। দেশের সবচেয়ে বড় ৫ তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন ১০ লাখ কর্মী।
ভারতের এই মুহূর্তে প্রতি বছর ১ কোটি চাকরির প্রয়োজন। সেই জায়গায় Adecco Group India-র মতে করোনা পরবর্তিতে দেশে টেক্সটাইল, ফুডপ্রডাক্ট, মেটাল, প্রাস্টিক, রাবার, ইলেকট্রেনিক্স সেক্টার কাজ হারাতে পারন ৯০ লাখ মানুষ। কাজ যতে পারে অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু লোকের।
আরও পড়ুন-সৌন্দর্যায়নে বরাদ্দ ২০ হাজার কোটি দিয়ে হাসপাতাল তৈরি করুন, মোদীকে উপদেশ সনিয়ার
করোনার থাবায় ধসে গিয়েছে পর্যটন ও উত্পাদন শিল্প। ভারতে লকডাউন যে বাড়বে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশে মে মাস পর্যন্ত লকডাউন চলবে। ফলে বাইরে থেকে কাজ আসা বন্ধ। প্রোজেক্ট না থাকায় বহু কোম্পানি ইতিমধ্যেই লোক কমাতে শুরু করেছে। বিপিও কাম্পানি Fareportal কাজ করে পর্যটন সেক্টরে। ইতিমধ্যেই তারা ৩০০ কর্মী ছেঁটেছে।
তথ্যপ্রয়ুক্তি কোম্পানি ইউনিয়নের দাবি, ২ ঘণ্টার নোটিসে বহু কর্মীকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। বহু কোম্পানির ব্যবসার পরিমাণ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে। বেতন কম করা হয়েছে কোম্পানির সিইও এবং একজিকিউটিভদের।