দূষণ সৃষ্টিকারী কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে পুলিসের গুলি, তুতিকোরিনে হত কমপক্ষে ৯
২০১৩ সালে প্রথমে বিষয়টি সামনে আসে। সে সময় এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন স্টারলাইট কপার থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাসে তাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, গলায় ইনফেকশন হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত এক মাস ধরে চলা বিক্ষোভ ভয়ঙ্কর আরার ধারন করল মঙ্গলবার। বিক্ষুব্ধ জনতাকে থামাতে গুলি চালিয়ে দিল পুলিস। সেই গুলিতে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহত বহু।
আরও পড়ুন-বিমানসংস্থার ত্রুটিতে উড়ান বাতিল হলে ফেরত দিতে হবে টিকিটের দাম
মঙ্গলবার দূষণ সৃষ্টিকারী বেদান্ত স্টারলাইট কপার কারখানা বন্ধের দাবিতে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ। বিশাল জনতা কারখানার দিকে মিছিল করে এগিয়ে যায়। বিক্ষোভের আঁচ করে পুলিস আগে থেকেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিসের ভ্যান উল্টে, পাথর ছুঁড়ে পুলিসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে। শুরু হয়ে যায় পুলিস-জনতা সংঘর্ষ। পুলিস কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে জনতাকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। এরপরই গুলি চালিয়ে দেয় পুলিস।
আরও পড়ুন-পাকিস্তান গুলি চালালে কী করবেন তা নিজেরাই ঠিক করুন, বিএসএফকে নির্দেশ রাজনাথের
২০১৩ সালে প্রথমে বিষয়টি সামনে আসে। সে সময় এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন স্টারলাইট কপার থেকে বেরিয়ে আসা গ্যাসে তাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, গলায় ইনফেকশন হচ্ছে। এনিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে প্রশাসন কারখান বন্ধ করে দেয়। তবে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে ফের খোলে কারখানাটি।
বিক্ষোভ নিয়ে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন বলেন, বহুদিন ধরেই ওই কারখানার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু সরকার তা গ্রাহ্যই করেনি। কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অন্যদিকে, অভিনেতা কমল হাসান বলেন, সাধারন নাগরিক অপরাধী নয়। সরকার শন্তিপূর্ণ আন্দোলনকে এতদিন অগ্রাহ্য করে এসেছে তাই এই পরিণতি হল।