নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারন করছে বিহারের বন্যা। রাজ্যের ১৪ জেলায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। বৃষ্টি তো থামছেই না, উল্টে বাড়ছে গঙ্গা, ঘরঘরা নদীর জলস্তর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সংগ্রামপুরে রেললাইনে বসে গেল বালিবোঝাই লরি, ট্রেন চলাচল ব্যাহত শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়


রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজধানী পাটনার অধিকাংশ অঞ্চল জলমগ্ন। জল ঢুকেছে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে। পাশাপাশি জল ঢুকে গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী প্রেম কুমারের বাড়িতে। বৃষ্টির জলে রাজেন্দ্র নগরে নিজের আটকে পড়েন রাজ্যের উপ মু্খ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী। তাঁকে শেষপর্যন্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে পুলিস ও উদ্ধারকারী দল। রাজেন্দ্র নগরে নিজের বাড়িতেই আটকে রয়েছেন বিহারের প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী শারদা সিনহা। প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন তিনিও।



এবার টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ রাজধানী পাটনা। হাঁটুর ওপরে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে শহরের অধিকাংশ এলাকায়। উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরএফের ৩২টি দল। শহরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব স্কুল-কলেজ ও কোচিং সেন্টার। রেল লাইন জলের তলায় চলে যাওয়ায় বাতিল করা হয়েছে অধিকাংশ ট্রেন। বিমানের রুটও বদল করা হয়েছে।



এদিকে বৃষ্টির পূর্বাভাস নিয়ে আবহাওয়া দফতরকে নিশান করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর দাবি, প্রবল বৃষ্টি নির্দিষ্ট কোনও খবর দেয়নি আবহাওয়া দফতর। তবে আহবাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর আনন্দ সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ভারী বৃষ্টি সম্পর্কে আগাম সতর্ক করা হয়েছিল সরকারকে। এনিয়ে সরকারের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা শাসককেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।


আরও পড়ুন-বন্যায় দেশজুড়ে মৃত শতাধিক, বিহার জারি রেড অ্যালার্ট, কেন্দ্রের সাহায্য চাইলেন নীতীশ


বিহারের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিহারের বন্যা পরিস্থিতির ওপরে কড়া নজর রখা হচ্ছে। শর্ট সার্কিট হওয়ার ভয়ে অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুত সরবারহ চালু করা যায়নি।


রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছেন নীতীশ কুমার। দুর্গত মানুষদের উদ্ধারের জন্য বায়ুসেনার কাছ থেকে ২টি চপারেরও চেয়েছে রাজ্য সরকার।