নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরই রাজ্যে জুড়ে প্রবল বিক্ষোভ দানা বাঁধছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার শিলচরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কোনও বৈধ ভারতীয় নাগরিকের নাম নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ যাবে না। পাশাপাশি, সরকার শীঘ্রই সংসদে পাস করাবে নাগরিকত্ব বিল(সংশোধনী)২০১৬। এতে অতীতে বহু মানুষের ওপরে যে অবিচার হয়েছে তার নিরসন হবে।


আরও পড়ুন-ভারতে রাফাল ওড়ার আগেই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিনে ফেলল পাকিস্তান!


এই নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ মানুষের। আজ সোমবার অসমে রাজ্যজুড়ে কালাদিবস পালন করছে ৩০টিরও বেশি সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে আসু ও নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ওরগানাইজেশন।


কী রয়েছে ওই বিলে? ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বেশকিছু সংশোধন আনা হচ্ছে ওই বিলে। ২০১৪ পর্যন্ত আফগানিস্থান, পাকিস্তান, বাংলাদেশের যেসব শিখ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি, জৈন এদেশে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, এই বিল কারও পক্ষে নয়। অতীতে যেসব মানুষের ওপরে অন্যায় হয়েছে তাদের জন্যই এই বিল।


এদিকে, আসু-র সভাপতি দীপঙ্কর নাথ এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী কোনও শ্রদ্ধা নেই। জোর করে তিনি ওই বিল অসমের মানুষের ওপরে চাপিয়ে দিচ্ছেন। অসমের আদি বাসিন্দাদের ভাবাবেগের প্রতিও তাঁর কোনও দরদ নেই। অসম আমাদের, বাংলাদেশিদের ডাস্টবিন নয়। সরকার অসমের ভূমিপুত্রদের অস্তিত্ব, পরিচিতি, ভাষার ওপরে আঘাত হানতে চাইছে।


আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই হ্যালকে বরাতের নথি দিয়ে রাহুলকে জবাব নির্মলা সীতারমনের    


প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব বিলটি সোমবার সংসদে ওঠার কথা। এর প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক ছাত্র ও সামাজিক সংগঠন ৮ জানুয়ারি বনধে সামিল হচ্ছে। নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ইউনিয়নের উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করছি আমরা। ওই বিলের বিরুদ্ধে মঙ্লবার ২ ছাত্র সংগঠন ও ৩০টি অন্যান্য সংগঠন ১১ ঘণ্টার বনধ পালন করবে।