Bhathinda Firing: ভাটিন্ডায় সেনা ছাউনিতে কাকভোরে চলল গুলি; নিহত ৪, এলাকা ঘিরে চলছে তল্লাশি
Bhathinda Firing: ভোর সাড়ে চারটের পরে ওই গদুলি চালনার ঘটনা ঘটে। বাইরে থেকে কারও অনুপ্রবেশ হয়নি। তাহলে ভেতরেরই কেউ চালিয়েছে গুলি? চলছে তল্লাশি...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় সেনা চাউনিতে কাকভোরে চলল গুলি। ওই গুলিতে প্রাণ হারালেন ৪ জন। একটি ইনশাস রাইফেল উধাও। ভোর ৪.৩৫ নাগাদ ওই ঘটনায় কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এটি জঙ্গি হামলা নয় বলে মনে করা হচ্ছে। সেনা ছাউনি ঘিরে চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন-নেতাদের জীবন যাপনে সতর্ক থাকতে হবে, বর্ধমান-হাওড়ার নেতাদের তোপের মুখে শতরূপ!
ভাটিন্ডার এসএসপি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি। গুলি চালনার ঘটনা কোনও জঙ্গি হামলা নয়। এদিকে, গুলি চালানার পরপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। চলছে চিরুনী তল্লাশি। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে না একটি ইনসাস রাইফেল ও ২৮ রাউন্ড গুলি।
উরি, পাঠানোকটের মতো ঘটনার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। তবে পুলিসের দাবি এটি কোনও জঙ্গি হামলা নয়। ভাটিন্ডার এই সেনা ছাউনিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যান্ত আঁটোসাঁটো। কারণ এখানে সেনার সবচেয়ে বড় আর্টিলারি ইউনিট রয়েছে। এই সেনা ছাউনির পাশ দিয়ে একটি হাইওয়ে গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি রেললাইনও। ফলে বাইরে থেকে কেউ এলে গুলি চালিয়ে দিয়ে চলে গেল এমন সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে বাকী থাকে দ্বিতীয় একটি সম্ভাবনা। সেটি হল গুলি চলেছে ভেতর থেকেই।
এখন যেখানে গোটা বিষয়টি আটকে রয়েছে তা হল এনিয়ে সেনা কিছু না বললে কিছু জানা সম্ভব নয়। যা এখনও জানা গিয়েছে তা হল ভোর চারটে ৩৫ নাগাদ ওই ঘটনা ঘটছে। ৪ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে নামানো হয়েছে ক্যুইক রেসপন্স টিম। চলছথে চিরুনী তল্লাশি। সম্ভাবনার মোড়কে যদি ধরে নিয়ে ভেতরের কেউ ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তাহলে তাকে চিহ্নিত করা না গেলে আশঙ্কা থেকেই যায়। রাইফেল, কার্তুজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে।
এনিয়ে প্রাক্তন কর্ণেল সৌমিত্র রায় বলেন, ভাটিন্ডা ক্যান্টনমেন্ট হল এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সেনাছাউনি। এখানে কোর হেড কোয়ার্টার ছাড়া, আর্টিলারি ইউনিট, কমব্যাট ইউনিট-সহ একাধিক ইউনিট রয়েছে। এর ভেতরে ঢুকে জঙ্গিরা কোনও হামলা চালাত তাহলে তারা অনেক বড় কাম্ড করত। যতটা আমি জানতে পারছি যে অফিসার্স মেস বা জেিওর মেসে ২-৪ জন এসে নির্বাচারে গুলি চালিয়েছে। যারা মারা গিয়েছেন তারা জওয়ান নাকি জেসিও তা বোঝা যাচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছে এটা ভেতরেরই কেউ হতে পারে। কোনও জওয়ান হয়তো উপরতলার কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল। সবটাই তদন্তের বিষয়।