Satarup Ghosh: নেতাদের জীবন যাপনে সতর্ক থাকতে হবে, বর্ধমান-হাওড়ার নেতাদের তোপের মুখে শতরূপ!
Satarup Ghosh: শতরূপ বলেন, আমি বাবার টাকায় গাড়ি চড়ি। আর কুণাল ঘোষ দিদির টাকায় প্রিজন ভ্যানে চড়েন। আমি তো কিছু বলিনি। এখন কেউ এমন সমালোচনা করতে পারেন যে আমার বাবা আমাকে গাড়ি কিনে না দিয়ে আমাকে একটা চাকরি কিনে দিতে পারতেন। তাতে কুণাল ঘোষেরও কিছু আয় হতো।
মৌমিতা চক্রবর্তী: সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে উঠল শতরূপ প্রসঙ্গ। বর্ধমান ও হাওড়া জেলার নেতাদের তোপের মুখে তরুণ সিপিএম নেতা। নাম না করেও তাঁর সমালোচনা করলেন দলের নেতারা। শতরূপের গাড়়ি কেনা নিয়ে একদফা প্রবল এবিতর্ক হয়েছিল। এবার সেই প্রসঙ্গ ফের উঠে এল।
আরও পড়ুন-গোমূত্র পানের অযোগ্য; রয়েছে ১৪ রকম ব্যাকটেরিয়া, জানাল কেন্দ্রের গবেষণা সংস্থা
সিপিএম সূত্রে খবর, দুই জেলার নেতাদের তরফে দলের নেতাদের জীবন যাপন সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'ভালো বক্তা মানেই সংবাদমাধ্যমকে ডিল করতে পারবেন এমনটা নয়। তাদের জীবন যাপন নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ' শতরূপের বাইশলখি গাড়ি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এমন মন্তব্য দলের একাংশের।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, শতরূপ এখন বাইশ লাখ টাকা দামের গাড়ির মালিক। শতরূপের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে ২ বছর আগে ২ লাখ টাকা ছিল। তিনি এখন ২২ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনলেন কী করে? গাড়ি কেনার টাকার উত্স ব্যাঙ্ক লোন হতে পারে। কিন্তু যিনি পার্টির হোলটাইমার তাকে ব্যাঙ্ক কীসের ভিত্তিতে লোন দেবে? দুনম্বর হতে পারে তাঁর বাবা তাঁকে ওই টাকা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসবে টাকা যদি বাবা দেয় তাহলে বাবার নামেই তো গাড়ি কেনা যেত।
এদিকে, কুণাল ঘোষের ওই মন্তব্যের পরপরই শতরূপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, মা আর নেই। বাবা বেঁচে রয়েছেন। ওঁরা সারা জীবন চাকরি করেছেন। আমি তাদের একমাত্র সন্তান। একটি চেকের মাধ্য়মে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ২.৫ লাখ টাকা চেকে পেমেন্ট করা হয়। এর পাশাপাশি বাবার অ্য়াকাউন্ট থেকে চেকের মাধ্যমে ১৮ লাখ ১ হাজার টাকা মেটানো হয় গাড়ি কেনার জন্য। আর ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা পেমেন্ট করা হয় ক্য়াশে।
কুণালের ওই অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায়। শতরূপ বলেন, আমি বাবার টাকায় গাড়ি চড়ি। আর কুণাল ঘোষ দিদির টাকায় প্রিজন ভ্যানে চড়েন। আমি তো কিছু বলিনি। এখন কেউ এমন সমালোচনা করতে পারেন যে আমার বাবা আমাকে গাড়ি কিনে না দিয়ে আমাকে একটা চাকরি কিনে দিতে পারতেন। তাতে কুণাল ঘোষেরও কিছু আয় হতো।