জি ২৪  ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, আতিক আহমদের মতো মাফিয়াদের মাটিতে মিশিয়ে দেব। শেষপর্যন্ত পুলিস হেফাজতে থাকা আতিক আহমেদকে গুলি করে মেরেছে রাজ্যের ৩ যুবক। এবার যোগীর পুলিসের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রাজ্যের প্রাক্তন ৭ বিধায়ক। সপা ও বসপার ওইসব বিধায়কদের বেশিরভাগই বাহুবলী থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। এদের বিরুদ্ধে খুন, তোলা আদায়, জমি আত্মসাতের মতো অভিযোগ রয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন এদেরও কি আতিকের মতো পরিণতি হবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নিয়োগ দুর্নীতির দায় কার, আদালত চত্বরে খোলসা করলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ


কারা রয়েছেন ওই তালিকায়? নাম রয়েছে ডন ও প্রাক্তন নেতা মুখতার আনসারি, বিজয় মিশ্র, প্রাক্তন বসপা বিধায়ক হাজি ইয়াকুব আনসারি, প্রাক্তন বসপা বিধায়ক হাজি ইকবাল, প্রাক্তন এমএলসি ব্রিজেশ সিং, প্রাক্তন সপা সাংসদ রিজওয়ান জাহির, বসপা এমএলসি স্ঞ্জীব দ্বিবেদীরা। এছাড়াও রয়েছে বহেশ কয়েকজন এমএলসি, ব্লক স্তরের নেতা। 


যোগী সরকারের ডিজি প্রশান্ত কুমার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ধর্ম-জাতপাত না দেখে ওইসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মোট ৬৬ দাগী অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওইসব অভিযুক্তের গ্যাংয়ের লোকজনদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদের ধরপাকড়রের জন্য এসটিএফ, এনএনটিএফকে ব্যবহার করা হবে। যে  ৬৬  জন মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীর কথা বলা হচ্ছে তাদের মধ্য়ে আতিক  আহমেদ ও আদিত্য রানার মৃত্যু হয়েছে। এদের মাথার দাম ছিল আড়াই লাখ টাকা। ওইসব দুষ্কৃতীদের মধ্যে ২৭ জন জেলে রয়েছে। বাকীরা এখন জামিনে মুক্ত। প্রশান্ত কুমার আরও বলেন, বদন সিং বাদ্দু, বিনয় ত্যাগী ও হাজি ইকবাল পালিয়ে বেড়াচ্ছে। 


রাজ্যের এক শীর্ষ পুলিস কর্তা বলেছেন, ২০১৭ সাল থেকে রাজ্যের অধিকাংশ কুখ্যাত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিস। যোগী সরকার সব মাফিয়া ও গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে অপারেশন শুরু করেছে। এবার তারই ফল ফলছে।


উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজে পুলিসের ঘেরাটোপেই খুন হন ৪ বারের বিধায়ক, একবারের সাংসদ ও গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। এদিন রাত দশটা নাগাদ প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে তার মেডিক্যাল টেস্ট করাতে আনে পুলিস। সেইসময় পুলিসের ঘেরাটোপে সাংবাদিক হিসেবে ঢুকে যায় ৩ যুবক। আতিক আহমেদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে এক দুষ্কৃতী। তার ভাইকে গুলি করে অন্যজন। এরপর মাটিতে পড়ে যাওয়া আতিককে খুব কাছ থেকে একের পর এক গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাদের থামাতে একটিও বুলেট খরচা করেনি পুলিস। প্রশ্ন উঠছে, এভাবে পুলিসের ঘেরাটোপে থাকা এক বিচারাধীন বন্দিকে কীভাবে খুন করল দুষ্কৃতীরা। অত রাতে হাসপাতালে আতিককে আনার কি কোনও প্রযোজন ছিল?  আতিক যদি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীই ছিল তাহলে তার কাছে সাংবাদিকদের ঘেঁসতে দিল কেন পুলিস?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)