নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝুলি থেকে বেড়াল বের হচ্ছে এবার! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাজ্যসভায় সরকার এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশাল-এ মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। ১৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার  বলেছিলেন লকডাউনের সময় কতজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তার কোনও হিসেব সরকারের কাছে নেই।  অর্থত্ হিসেব গোলমেলে হলেও রয়েছে।


আরও পড়ুন-মদের আসরে বচসা, ২ বন্ধুকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ যুবকের


গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ওই তথ্য দেওয়া পর সরব হন রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রাহুল টুইট করেন, হিসেব নেই মানে এই নয় যে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি। পাশাপাশি মহুয়া মৈত্র টুইট করেন, গতকাল লোকসভায় লিখিতভাবে সরকার জানিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক, কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ হারানোর সংখ্যা কেন্দ্রের কাছে নেই। তাই এখনও পর্যন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বেরও প্রয়োজন নেই।


এদিকে চার দিনের মধ্যেই বদলে গেল পরিস্থিতি। শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন প্রশ্ন তোলেন, লকডাউনের সময়ে শ্রমিক স্পেশালে কতজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল তার তথ্য দিক সরকার। সেই প্রশ্নের উত্তরে শনিবার ওই তথ্য দেন রেলমন্ত্রী পীষূষ গোয়েল। তিনি বলেন, ৯৭টি মৃত্যু ঘটনার ক্ষেত্রে ৮৭ জনের দেহ পোস্ট মর্টেমে দেওয়া হয়েছিল।  এর মধ্যে ৫১টি রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। ওইসব ক্ষেত্রে মৃত্যু কারণ হিসেবে কোথাও হার্টের রোগ, কোথাও মস্তিস্কে আঘাত, পুরনো রোগ, লিভারের অসুখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-'আপনি মুখ খুললেই ৫০ হাজার ভোট কেটে যায়, পিকে বলেছেন একদম চুপ', মমতাকে কটাক্ষ তথাগতর


উল্লেখ্য, লকডাউনের সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত আটকে থাকা শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দিতে ১ মে থেকে শ্রমিক স্পেশাল চালু করেছিল রেল। এখনও পর্যন্ত ওই ট্রেনে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩,১৯,০০০  জন।  গোয়েল বলেন, ট্রেন চালানো রেলের কাজ। কিন্তু তার দেখাশোনা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।  ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশালে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য পুলিস।