নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার বিকেলে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য। বাবার মুখাগ্নি করেন মেয়ে নমিতা ভট্টাচার্য। চোখের জলে অটলজিকে বিদায় জানায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন-সহ দেশের প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। ছিলেন বিজেপি শাসিত ও এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও। শেষকৃত্যের পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, আগামী ১৯ অগাস্ট নদীতে ভাসানো হবে অটল বিহারীর চিতাভস্ম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিবৃতিতে আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ ছিল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কর্মভূমি। তাই রাজ্যের সমস্ত প্রধান নদীতে ভাসানো হবে অটলজির চিতাভস্ম। একই সঙ্গে অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষ যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারায় তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন বলেও জানিয়েছেন আদিত্যনাথ। 


 



আগামী ১৯ অগাস্ট হরিদ্বারে ভাসানো হবে অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম। যোগী জানিয়েছেন, এরপর আগরায় যমুনা ও চম্বল, ইলাবাদে গঙ্গা, যমুনা ও টোন্স, বারাণসীতে গঙ্গা, গোমতী ও বরুণা, লখনউয়ে গোমতী, গোরক্ষপুরে ঘর্ঘরা, রাপ্তি, রোহিন ও আমি, বলরামপুরে রাপ্তি, কানপুরে গঙ্গা ও যমুনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহরে নদীতে ভাসানো হবে অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম। 


মুখাগ্নি করলেন মেয়ে নমিতা, পঞ্চভূতে বিলীন হলেন অটল বিহারী


বৃহস্পতিবার দিল্লির এইমসে প্রয়াত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অটলের প্রয়াণে দল ও দেশের ছড়িয়ে পড়ে শোকের আবহ। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় শেষকৃত্যের তোড়জোড়। সকালে দিল্লির বাসভবনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপির নবনির্মিত সদর দফতরে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান হাজার হাজার মানুষ। শেষ যাত্রায় অন্যান্যদের সঙ্গে হাঁটেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বিকেলে দিল্লির রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থান শ্মশানে পঞ্চভূতে বিলীন হয় অটল বিহারীর দেহ। সমাপন হয় এক যুগের।