নিজস্ব প্রতিবেদন: বিচ্ছেদ চরমে বুয়া-বাবুয়ার। রবিবার দলের জাতীয় কনভেনশনে সমাজবাদী পার্টির উপর অভিমান, ক্ষোভ পুরোপুরি উগরে দিলেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। এ দিন দলীয় কর্মীদের একা লড়ার আহ্বান দেন। উত্তরপ্রদেশের ১২টি কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে একাই লড়তে চলেছে বসপা। উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল না হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে আদ্যপ্রান্তে সমাজবাদী পার্টিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মায়াবতী। তাঁর অভিযোগ, অখিলেশ যাদবই চেয়েছিলেন বেশি সংখ্যক মুসলিম প্রার্থী না করার। এতে মেরুকরণ হতে পারে বলে অখিলেশের দাবি ছিল। পাশাপাশি, তাঁর অভিমান, লোকসভা নির্বাচনের পর একবারও তাঁকে ফোন করেননি বাবুয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মায়াবতী ফোন করেছিলেন। সমাজবাদী পার্টির শোচনীয় হারে অখিলেশকে সান্ত্বনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সৌজন্যবোধ অখিলেশ দেখাননি বলে মায়ার অভিযোগ। বিএসপি অধ্যক্ষের পরাজয়ের পিছনে সপার এক হেভিওয়েট নেতা দায়ী বলে মায়াবতী অভিযোগ করেছেন। সমাজবাদী পার্টির শাসনকালে দলিতরা অত্যাচারিত হন অভিযোগও তোলেন।


আরও পড়ুন- মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইস্তফা দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য্য


মায়াবতীর একের পর এক অভিযোগে মহাজোটের ফাটল আরও প্রশস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ২০২২ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভাকে লক্ষ্য করেই এগোতে চাইছেন মায়াবতী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, মুসলিদের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে অখিলেশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পিছনে সুক্ষ্ম চাল রয়েছে মায়াবতীর। এবারের নির্বাচনে শূন্য থেকে ১০ টি আসন বাড়াতে পেরেছেন মায়াবতী। সপার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুসলিম ভোটও পেয়েছেন তিনি। সেই ভোটব্যাঙ্ককে হাতছাড়া না করতে চাইছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি দলিত নিয়েও সরব মায়াবতী। সপা ও বসপা একা লড়লে আদতে বিজেপির ফায়দা হতে পারে বলে এমনটা দাবি করছেন তাঁরা।