অঞ্জন রায়: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অযোধ্যার জমিতে রাম মন্দির তৈরিতে আর কোনও বাধা থাকল না। রাম মন্দিরের দাবি নিয়ে শুরু থেকে রাস্তায় বিজেপি। তাদের ইস্তেহারেও পেয়ে এসেছে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি। ঐতিহাসিক রায়ের দিন সে কথাই মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। রাখঢাক না রেখেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''রাম মন্দির আন্দোলনকে নৈতিকভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে বিজেপি। ১৯৮৬ সালে আমিও অংশ নিয়েছি। আমাদের অনেক কর্মী অংশ নিয়েছেন। আজ গর্বের মুহূর্ত। এই দিনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলে স্বাগত জানিয়েছেন''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাম মন্দির তৈরি হলে তো বিজেপির হাতে দীর্ঘদিনের নির্বাচনী ইস্যু হাতছাড়া হবে? দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, অযোধ্যা, কাশী ও মথুরায় মন্দির নিয়ে আন্দোলন করেছি। অযোধ্যায় হয়েছে, বাকি জায়গায় কী হবে, সেটা সাধুসন্তরা ঠিক করবেন। তবে মন্দির যে ছিল তা তো ঐতিহাসিকভাবে সত্যি। মসজিদ ভেঙে মন্দির করা হয়েছে। 


রাজ্যে আসন্ন তিনটি উপনির্বাচনে কি সুবিধা পাবে বিজেপি? ইভিএমে হিন্দুত্বের ডিভিডেন্ট মিলবে বলে একবাক্যে স্বীকার করেছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ''রাম মন্দির ইস্যুতে বিজেপির উত্থান হয়েছে। উপনির্বাচনেও তার প্রভাব পড়বে।'' 



অযোধ্যার রায় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরব অবস্থানেও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়,''সবাই দেখছে উনি কার পক্ষে। পুলওয়ামার পর ওনার বিবৃতি পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। সংবাদমাধ্যমও সেটা দেখিয়েছিল।  অনেকে দুখীও হয়েছেন। মনের মতো রায় হয়নি বলে। তাঁরা খুশি হননি। 'তবে দেশে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত তৈরির সুযোগ এসেছে।


নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কৃতিত্ব দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর যুক্তি,''আমার মনে হয়, রায় আগেও আসতে পারত। প্রশাসনের উপরে ভরসা রাখতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট। আজ কেন্দ্রে দক্ষ সরকার রয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সমাধানের চেষ্টা করেছিল সরকার। সরকার ঠিক পথে এগোচ্ছে। রায়ও একেবারে সঠিক।''


আরও পড়ুন- রাম বা রহিম নয়, অযোধ্যা রায়ের পর ভারতভক্তির বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী