নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামার আগেও দেশে বহু জঙ্গি হানা হয়েছে। তখন সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বদল করেছে। এবার সেই রাস্তায় হাঁটেনি নয়া সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বদলের পরিবর্তে পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে মেরেছে আমাদের সেনা। শনিবার দিল্লি মেট্রোর ব্লু লাইনের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিরোধীদের এভাবেই বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বালাকোটে বিমানহানার পর সেখানে কত জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিরোধী শিবির থেকে। এনিয়ে খানিকটা বিব্রত সরকার। তবে তাকে পাত্তা না দিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী।



আরও পড়ুন-গবেষণাগারে তৈরি হিরে আসল বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করতো মেহুল চোকসির কোম্পানি


এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই টুকরে টুকরে গ্যাং-কে চিনে রাখুন। সাতসকালে প্রথম পাকিস্তানই জানিয়েছিল ভারতীয় সেনা আমাদের ঘরে ঢুকে মেরেছে। কিন্তু আমাদের দেশের এমন কিছু লোক রয়েছে যারা সকাল ৯ বাজতেই বলা শুরু করে দিলেন জানিনা বালাকোট আসলে কোথায়, ওখানে আসলে হয়েছেটা কী।’



মোদী আরও বলেন, দেশের সেনা তার কাজ করেছে। এই সময়ে দেশের নাগরিকদেরও একটা কর্তব্য রয়েছে। এখন সতর্ক থাকতে হবে। নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মনে করে দেখুন ২০১০ সালে পুনের একটি বেকারিতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ওই বছরই বারাণসীতে বোমা ফেটেছিল। ২০১১ সালে মুম্বইয়ে বিস্ফোরণ হয়। দাদরে বোমা ফাটে, দিল্লি হাইকোর্টের সামনে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওইসব ঘটনার পর তখন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বদল হতো। আপনারাই বলুন এরকম এক পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বদল প্রয়োজন নাকি নীতি বদলের প্রয়োজন।


আরও পড়ুন-হিন্দুদের উপেক্ষা করা হচ্ছে, অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতার নির্দেশ প্রসঙ্গে মত আরএসএসের


মুম্বই হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলা হয়। কেউ সেসব দিন ভুলতে পারে না। কিন্তু পাকিস্তানকে কী জবাব দিয়েছিল ভারত! আমাদের বায়ুসেনা বলেছিল আমাদের অনুমতি দিন। কিন্তু তাদের হাত-পা বেঁধে বলা হয়েছিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে।