নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালি যুবককের নৃশংস খুনের প্রতিবাদে শনিবার বনধ পালন হচ্ছে প্রায় গোটা অসম জুড়েই। ক্ষোভের আগুনে পুড়ছেন অসমের বাঙালিরা। রাজ্যের চোদ্দটি বাঙালি সংগঠনের ডাকে চব্বিশ ঘণ্টার অসম বনধে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দীপাবলির আগেই অন্ধকার নেমে এল তিনসুকিয়ায়, দুঃখপ্রকাশ মমতার


বনধের ভালো প্রভাব পড়েছে রাজ্যের অধিকাংশ জেলায়। গুয়াহাটি, শিলচরে বনধের প্রভাব যথেষ্টই। অধিকাংশ দোকান বন্ধ। রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল খুবই কম। লামডিংয়ে ট্রেন অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। সেখানে আটকে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র মেল। থেমে রয়েছে গুয়াহাটি-শিলচর গামী ট্রেন।


নাওগাঁতেও বনধ ঘিরে উত্তেজনা রয়েছে। দলগাঁওতে ১৭ বনধ সমর্থককে আটক করা হয়েছে। বরাক উপত্যকায় কোনও যানবাহন চলছে না। প্রসঙ্গত, তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বনধ সমর্থনকারী ১৪ সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রশাসন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। রাজ্যজুড়ে বনধ হওয়ায় শিলচরকে বনধের আওতা থেকে বাদ রেখেছে বনধ সমর্থকরা।


এদিকে পাঁচ বাঙালির হত্যার প্রতিবাদে উলফার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন বিলাসীপাড়ার বাঙালিরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা উলফা নেতা মৃণাল হাজারিকা ও জিতেন দত্তের কুশপুতুল পোড়ালেন তারা। এই ছবি খুব একটা দেখা যায় না অসমে। সাধারণত উলফা কোনও ঘটনা ঘটালে ঘরে থেকে বের হন না এলাকার মানুষজন। এবার তার উল্টো ছবি দেখা গেল।


আরও পড়ুন-যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ তৈরির বনজ ছত্রাক উদ্ধার! দাম কোটা টাকা ছাড়িয়ে


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় পাঁচ বাঙালি যুবককে ডেকে নিয়ে গুলি করে খুন করে জলপাই রঙের পোষাক পরা কিছু লোক। ঘটনায় সন্দেহ করা হচ্ছিল উলফা স্বাধীন-কে। যদিও গতকাল বিবৃতি দিয়ে উলফা এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে। উজানি অসমে তিনসুকিয়া জেলার ঢোলা থানা এলাকার খেরাবাড়ি গ্রামে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় বেঁচে যান সহদেব নমঃশূদ্র নামে এক যুবক। ভয়ে জ্ঞান হারালে তাঁকে মৃত ভেবেই এলাকা ছেড়ে চলে যায় মুখে কালো কাপড় বাঁধা হামলাকারীরা।