জি ২৪ ঘন্টা ব্যুরো: 'বঙ্গীয় পরিষদ(Bangiya Parishad) সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গোৎসব' এই বছর ৬১ বছরে পদার্পণ করলো। ১৯৬৩ সালে মুম্বই, থানেতে বঙ্গীয় পরিষদ স্থাপিত হয়। এটি মহরাষ্ট্রের সব থেকে পুরোনো 'বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন'। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য বাঙালির সংস্কৃতি ভারতের দরবারে তুলে ধরা। তাছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক এবং কল্যাণমূলক কাজকর্মের মাধ্য়মে সমাজের উন্নতি করা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: IRCTC: ট্রেনের প্যান্ট্রিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইঁদুর, খুঁটে খাচ্ছে যাত্রীদের খাবার!


গত ৬২ বছর ধরে তাঁরা সমাজের কল্যাণের জন্য বহু কাজ যেমন রক্তদান, চক্ষু পরীক্ষা শিবির,আদিবাসী পড়ুয়াদের বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে সাহায্য করে চলেছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দুর্গা পুজোর আয়োজনও তাঁরা করছেন। ধর্ম, জাত, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় সবকিছু ভুলে একসঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য়ই তাঁরা এই দুর্গোৎসব আয়োজন করেন।


শুধুমাত্র পশ্চিম বাংলা নয়, ভারতের বিভিন্ন জায়গাতেই এইধরনের কিছু পুজো হয়। যেখানে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদেরকে নিয়ে সকলে মিলে দুর্গোৎসব উদযাপন করা হয়। 


আরও পড়ুন: Maharshtra: রহস্যমৃত্যু নিখোঁজ অন্তঃসত্ত্বার, রাতভর রাস্তায় মায়ের মরদেহের পাশেই বসে ৪ বছরের খুদে!


থানের আইল্যান্ড গার্ডেনে বঙ্গীয় পরিষদ খুবই বিখ্যাত তাঁদের মণ্ডপের সাজসজ্জার জন্য। তাঁদের এই বছরের মূল ভাবনা মা দুর্গার যেন শান্তি নিয়ে মর্তে আসেন। মন্ডপে থাকা সাদা এবং নীল আলো এই ভাবনাকে আরও ভালো ভাবে রূপ দিচ্ছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সকলের সঙ্গে আনন্দে দুর্গোৎসব পালন করাই তাঁদের লক্ষ্য়।


এই বছরের দুর্গোৎসবে ৮০-রও বেশি হস্তশিল্প পণ্যদ্রব্যের স্টল থাকছে। যেখানে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, গয়না এবং আরও অনেক কিছু। পুজো চলাকালীন, প্রতিদিন ১০০০-এরও বেশি দুঃস্থ বঞ্চিত মানুষদেরকে খাবার দেওয়া হয়। সকলের সঙ্গে এইভাবেই তাঁরা দুর্গোৎসব উদযাপন করেন।