নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ষায় মন মতো ইলিশের স্বাদ পায়নি ভোজন প্রিয় বাঙালি। মেরে-কেটে পাতে যা পাওয়া গিয়েছিল তা দিয়ে যে মোটেই আশ মেটেনি একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেই খেদ মিটতে চলেছে শারদপ্রাতেই। দীর্ঘ ৭ বছর পর পদ্মার ইলিশ পেতে চলেছে ভারত। সু-সম্পর্কের বার্তা দিয়ে পুজোর মরসুমে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে হাসিনা সরকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানানো হয়েছে, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যেই ৫০০ টন ইলিশ ঢুকে যাবে ভারতে। রবিবার দুপুরেই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৪ টন ইলিশ ঢোকার কথা ছিল। তবে কাগজপত্রের জটিলতার কারণে তা আটকে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের তৎপরতায় তা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আজকের মধ্যেই সেই ইলিশ ঢুকবে বলে সূত্রের খবর। 


এতে আশার আলো দেখছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের মাছ বিক্রেতা চুনিলাল বলেন, "পুজোর সময় মাছ আসছে, আমরা খুশি। আশা করি এবার একটু দাম কমবে। সকলের পাতেই মাছ পৌঁছবে।" অন্যদিকে সঞ্জয় বেজ বলেন, "৭ বছর পর ইলিশ আসছে এটা আনন্দের। সারা বছর চলুক আমদানি চলুক সেটাই চাই।"


২০১২ সাল থেকেই রাজনৈতিক কারণে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার যায়। একাধিকবার আলোচনার পরও ইলিশ রপ্তানি করতে আর রাজি হয়নি তারা। তবে এই ৫০০ টন ইলিশ তারা পুজোর উপহার হিসাবেই পাঠাবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি এটি যে কোনও বাণিজ্যিক রপ্তানি নয় তাও জানিয়েছে বাংলাদেশ। 


বাংলাদেশে ইলিশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গাজীপুরের একুয়াটিক রিসোর্ট লিমিট ও ভারতের আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কলকাতার নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের নামেই ইলিশের আমদানি রপ্তানি হবে।


এখনও পর্যন্ত ইলিশের দাম ঘুরছে ৭০০ টাকার কাছাকাছি। তবে জানা গিয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০০ টাকা প্রতি কেজি দামে ইলিশ বিক্রি করা হবে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের চালান আসবে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ইলিশ নিয়ে আসবেন কলকাতায়। শিয়ালদহ, হাওড়া, পাতিপুকুর, বেহালা বাজারে ঢুকবে সেই মাছ। এরপর রাজ্যের বাজারে যাবে।  উত্তরবঙ্গেও ইলিশ পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে।