নিজস্ব প্রতিবেদন: ন্যূনতম ব্যালান্স না রাখার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে ব্যাঙ্কগুলি। এভাবে বছরে ব্যাঙ্কগুলি ‌যে টাকা আয় করে তার অঙ্ক শুনলে চোখ কপালে উঠবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৭-১৮ সাল ব্যাঙ্কগুলি জরিমানা বাবদ আদায় করেছে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা। ওইসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৩০.৮ কোটি অ্যাকাউন্টই জনধন ‌যোজনা প্রকল্পে খোলা। ‌যেসব মানুষদের জন্য বিনা খরচে সরকার অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিল তাদের কাছ থেকেই এখন জরিমানা আদায় করছে ব্যাঙ্কগুলি।


আরও পড়ুন-রেষারেষির জেরে উল্টে গেল বাস, আহত কমপক্ষে ৩০


বিপুল টাকা ওই জরিমানার অর্ধেকেই গিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ঘরে। গত এক বছরে এসবিআই আদায় করেছে ২,৪৩৩ কোটি টাকা। বাকী ৩০ শতাংশ জরিমানা পেয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক ও পিএনপি।


বেশকিছুদিন পর ফের জরিমানা ফিরিয়ে এনেছে এসবিআই। তবে তা আগের থেকে দ্বিগুণ। ২০১৮ সালে মোট সাত মাসে ১৭০০ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে তারা। তবে কতগুলি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই জরিমানার টাকা আদায় করেছে তা স্পষ্ট করেনি এসবিআই। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে স্টেট ব্যাঙ্কের লোকসান হয়েছে ৬,৫৪৭ কোটি টাকা। সেখানে জরিমানা থেকেই আদায় হয়েছে ২,৪৩৩ কোটি টাকা।


আরও পড়ুন-এটিএমকাণ্ডে স্পষ্ট হল নেপাল যোগ


স্টেট ব্যাঙ্কের পরে জরিমানা আদায়ের দৌড়ে রয়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। তাদের ঘরে ঢুকেছে ৫৯০ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ওই জরিমানার পরিমাণ ছিল ৬১৯.৩৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক আদায় করেছে ৫৩০.১২ কোটি টাকা। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক পেয়েছে ৩১৭.৬ কোটি টাকা।


পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জরিমানা হিসেবে আদায় করেছে ২১১ কোটি টাকা। গ্রামীণ এলাকায় পিএনবিতে ন্যূনতম ব্যালান্স রাখতে হয় ৫০০ টাকা। শহর এলাকায় ওই অঙ্ক ১০০০ টাকা।