নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২৫ সালের মধ্যে কেন্দ্রের ইঞ্জিন-চালিত দু’চাকা ও তিন চাকার বাহন বন্ধের পরিকল্পনা অবাস্তব- সাফ জানিয়ে বাহন নির্মাতা সংস্থা বাজাজ ও টিভিএস। তাদের মতে এই পরিকল্পনা সময়োপযোগী না। এর ফলে দেশের গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি দুই সংস্থার কর্তাদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মে মাসে নীতি আয়োগের এক প্রস্তাবনায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের পর নিষিদ্ধ হবে পেট্রোল-ডিজেলচালিত তিন চাকার যান। এ ছাড়াও ২০১৫ সালের ৩১ মার্চের পর ১৫০ সিসির নিচে সমস্ত পেট্রোল-চালিত দু’চাকার গাড়ির উত্পাদন নিষিদ্ধ করা হবে। নীতি আয়োগের মতে, এর ফলে বায়ু দূষণ কমবে এবং দেশে ইলেকট্রিকের গাড়ির উত্পাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এরপর, সোমবার ভারতে গাড়ি উত্পাদনকারী সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম(SIAM)-এর তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি উত্পাদনের ক্ষেত্রে একটি পরিকল্পিত উদ্যোগ এবং বাস্তবসম্মত সময়সীমা গ্রহণ করার আর্জি জানানো হয়।


সোমবার সরকারি পরিকল্পনাকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘সময়োপযোগী নয়’বলে দাবি করেন বাজাজ অটোর শীর্ষকর্তা রাজীব বাজাজ। তাঁর মতে, "ভারতে ব্যবসা করা সংস্থাগুলির এত দ্রুত ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি শুরু করার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। নেই অভিজ্ঞতাও। তা ছাড়া এই নিয়ম থেকে চার চাকার গাড়ি বাদ দেওয়ায় পরিকল্পনাটি অসম্পূ্র্ণ।" অন্যদিকে ভারতের আরেক বৃহত্ অটো নির্মাতা সংস্থা টিভিএস-এর চেয়ারম্যান বেণু শ্রীনিবাসনের মতে এই ভাবে অযৌক্তিক ডেডলাইন চাপিয়ে দেওয়ার ফলে ভারতে অটোমোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি বিপাকে পড়বে। বিপন্ন হতে পারে ৪০ লক্ষ মানুষের জীবিকা।
 
সুপরিকল্পিত ভাবে ধাপে ধাপে প্রচলন করতে হবে ইলেকট্রিক গাড়ি, দাবি অটোমোবাইল নির্মাতা সংস্থাগুলির। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অদূর ভবিষ্যতে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত যানবাহন উত্পাদন বন্ধ করতে চাইছে ইউরোপোর বিভিন্ন দেশ। ২০৩০ –নাগাদ পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ি উত্পাদন নিষিদ্ধ করতে চাইছে ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ড। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নির্ধারিত সময়সীমা ২০৪০ সাল। প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনও ২০৪০ নাগাদ নিষিদ্ধ করতে চাইছে পেট্রোল-ডিজেল গাড়ির উত্পাদন। তবে কোনও ক্ষেত্রেই আলাদা করে নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়বে না দু’চাকা ও তিন চাকার গাড়ি।


আরও পড়ুন - লিপুলেখ রুট দিয়ে প্রথম ৫৮ যাত্রী শুরু করলেন মানস সরোবর যাত্রা