BBC Documentary Row: `বিবিসিকে এদেশে নিষিদ্ধ করুন`, হিন্দুসেনাকে পাল্টা কড়া জবাব সুপ্রিম কোর্টের
ওই তথ্যচিত্র নিয়ে বিবিসির উপরে চাপ বাড়ায় গত সপ্তাহে মুখ খুলল ব্রিটিশ সরকার। এর মধ্যেই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিদেশ সচিব এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে প্রয়াস চালিয়ে যাবে ব্রিটেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাট হিংসা ও সেইসময় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার উপরে তৈরি বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। হিন্দু সেনা-র তরফে এক জনস্বার্থ মামলা করে বিবিসি-কে এদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হয়েছিল। সেই আবেদন বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-এসএসসি গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল, জারি হল বিজ্ঞপ্তিও
শুক্রবার ওই মামলার শুনানিকে হিন্দু সেনার উপরে বিরক্তি প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। আজ শুনানি চলাকালীন হিন্দু সেনার সওয়ালের জবাবে বিচারপতি বলেন, এরকম আবেদন একেবারেই যুক্তিহীন। এইরকম যুক্তি আপনারা দেখান কীভাবে? আদালতকে আপনি কীভাবে বলছেন বিবিসিকে নিষিদ্ধ করুন?
বিবিসিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন হিন্দু সেনার প্রেসিডেন্ট বিষ্ণু শর্মা। তাঁর দাবি ছিল বিবিসি ভারত বিরোধী, কেন্দ্রের মোদী সরকার বিরোধী। বিশ্ব রাজনীতিতে দ্রুত গুরুত্পূর্ণ হয়ে উঠছে ভারত। তাই ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া দ্যা মোদী কোশ্চেন-র মতো তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। গুজরাট হিংসার উপরে যে তত্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে তাতে সুপরিকল্পিতভাবে নরেন্দ্র মোদীকে টেনে আনা হয়েছে। এর পেছনে নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিতে কালি ছেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দুত্বের উপরে আঘাত হানা হয়েছে।
গতমাসে ওই তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব সম্প্রচার করে বিবিসি। সেটি এদেশে দেখানোর পরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তা ইউটিউব ও ট্যইচার থেকে তা সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে কেন্দ্র। এনিয়ে সরব হয়ে ওঠে বিদেশ মন্ত্রক। বলা হয়, ওই তথ্যচিত্রটি তৈরি হয়েছে প্রপাগান্ডা করার জন্যই। এর মধ্যে ঐপনিবেশিক মনভাব স্পষ্ট।
এদিকে, ওই তথ্যচিত্র নিয়ে বিবিসির উপরে চাপ বাড়ায় গত সপ্তাহে মুখ খুলল ব্রিটিশ সরকার। এর মধ্যেই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিদেশ সচিব এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে প্রয়াস চালিয়ে যাবে ব্রিটেন। সরকার এমন কথা বললেও বিবিসির কী হবে? এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছিল সেদেশে। দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভের সময়ে তোলপাড় হয় ব্রিটিশ সংসদ। সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদরা দিল্লিতে অবস্থানকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর দাবি করে বসেন। এবার তা না হলেও মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে চাপ বাড়ছিল সরকারের উপরে। এবার এনিয়ে মুখ খুলল ব্রিটিশ সরকার। সুনক সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, সংবাদমাধ্যম কী সংবাদ পরিবেশন করবে সে ব্যাপারে তাদের স্বাধীনতা রয়েছে।