ওয়েব ডেস্ক : বেনামে সম্পত্তি রয়েছে? বাড়ির অন্য সদস্যদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখছেন? তাদের নামে একের বেশি জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন? তার মধ্যে কিছু সম্পত্তি নগদ টাকায় কিনেছেন করের আওতায় পড় থেকে বাঁচতে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমন কাজ যদি করে থাকেন অতীতে, তাহলে কিন্তু এবার আপনার সম্যূহ বিপদ। কারণ ভারতে জারি করা হয়েছে বেনামি প্রপার্টি ট্রানসাকশন অ্যাক্ট, ১৯৮৮। গত বছর ১ নভেম্বর থেকে এই আইন কঠোর ভাবে বলবত্‍ করা হয়েছে।


২০১৬-র ৮ নভেম্বর দেশজুড়ে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদী। দুর্নীতি ও কালো টাকা রোধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দাবি তাঁর। কেন্দ্রীয় সরকারি এই সিদ্ধান্তকে বাস্তব রূপ দিতে গঠিন করা হল কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি সেই কমিটি কালো টাকা ও দুর্নীতি রোধে কাজ করবে দেশে। ইতিমধ্যেই ৭০ হাজার কোটির কালো টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। এবার কালো টাকার পাশাপাশি, বেনামী সম্পত্তি নিয়েও অভিযানে নামল সরকার।


আরও পড়ুন- স্টেট ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে? তাহলে অবশ্যই জানুন বিষয়টি...


গতকাল কেন্ত্রীয় আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞাপণ দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত নিজেদের স্বচ্ছ রাখা। কারণ দুর্নীতি করা একটি অপরাধ।  


বেনামি প্রপার্টি ট্রানসাকশন অ্যাক্ট, ১৯৮৮-তে আনা সংশোধনে বলা হয়েছে, কোনও ব্যাক্তি যদি বেনামী সম্পত্তি রাখে, আর তা যদি আয়কর দফতরের নজরে আসে তাহলে শাস্তি হবে কঠোর। হতে পারে ৭ বছর জেল ও সেই সঙ্গে সম্পত্তির বর্তমান মূল্যের ২৫ শতাংশ জরিমানা বাবদ কেটে নেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়, যদি কোনও ব্যক্তি নিজের সম্পত্তির সঠিক তথ্য সরকারকে না জানায়, তাহলেও হবে ৫ বছরের জেল ও সম্পত্তির ১০ শতাংশ জরিমানা।


আয়কর দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই দেশজু়ড়ে ২৩৫টি এমন কেস সামনে এসেছে। তাদের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকার বেনামী সম্পত্তিও ক্রোক করা হয়েছে।