জ্যোতির্ময় কর্মকার: গোলাপি শহরে বাঙালিদের আধিপত্য আজ থেকে নয়। যখন জয়পুর শহরের ভিত্তি স্থাপন হয় তখন থেকেই। বলা যায়, বাঙালিদের হাত ধরেই শুরু হয়েছে জয়পুরের জয়জয়কার। আজ বসুন্ধরা রাজের রাজ্যের বাঙালিরা কেমন আছেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিহাস বলে, সাড়ে তিনশো বছর আগে অমের রাজা জয়পুর শহর তৈরি করতে নিয়োগ করেছিলেন বাঙালি স্থপতিকার বিদ্যাধর চক্রবর্তীকে। এর পর থেকেই পরবাসে বাঙালিদের এটাই ‘দ্বিতীয় ঘর’ হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র জয়পুরেই প্রায় ৮ লক্ষ বাঙালি বাস করেন। এছাড়া জয়সলমের, যোধপুর, উদয়পুর, অজমেরে মতো একাধিক শহরে অনায়াসেই বাঙালিদের টিকি খুঁজে পাবেন। এরপরও বাঙালিদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এ রাজ্যে সেভাবে মর্যাদা পাননি তাঁরা। স্বাধীনতার পর বিধানসভায় ঠাঁই হয়নি কোনও বাঙালির। এবারের নির্বাচনেও এই আক্ষেপই আরও প্রকট হয়ে উঠেছে বাঙালিদের মধ্যে। তবে, তাঁদের এই সমস্যা একজনই মেটাতে পারেন বলে বিশ্বাস জয়পুরের বাঙালিদের। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- রাম মন্দিরের লক্ষ্যে ভোটের ময়দান ছাড়ার ঘোষণা উমা ভারতীর


রাজস্থানের নির্বাচনে তৃণমূলকে প্রার্থী দেওয়ার আর্জি জানালেন সেখানকার বাঙালিরা। জয়পুরের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আশিস সরকার তো এমনটাও দাবি করলেন, মমতা প্রার্থী দিলে বাঙালিরা ফের তাঁদের অস্তিত্ব খুঁজে পাবে। তাঁর অভিযোগ, “কংগ্রেস-বিজেপি প্রতি বারই বাঙালি ভোট ব্যাঙ্ককে ব্যবহার করে। কিন্তু ভোট ফুরলেই বাঙালিদের কথা আর কেউ ভাবে না”।


প্রতি বছর ঘটা করে দুর্গাপুজো করে এই বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন। আমন্ত্রিত থাকেন বিজেপি-কংগ্রেসের অনেক প্রভাবশালী নেতারা। অভিযোগ, ফাঁকা কলসির মতো গালভরা কথাই শুধু বলেন তাঁরা, কোনও কাজের কাজ হয়নি।


আরও পড়ুন- মরুরাজ্যে ‘ভারত মাতার জয়’ নিয়ে বালি ছোড়াছুড়ি রাহুল-মোদীর


কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন?


বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বর্ষীয়ান চিকিত্সক এস কে সরকার বলেন, “এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিজেপিকে হঠাতে তিনি বিরোধীদের একজোট করছেন”। তাঁর কথায়, এ রাজ্যেও বিজেপি সরকার। যদি এখানে তৃণমূল প্রার্থী দেয়, তা হলে জোটের পক্ষে কড়া বার্তা দেওয়া হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি এস কে সরকার বিশ্বাস করেন, রাজস্থানে তৃণমূল প্রার্থী দিলে অন্তত জয়পুরের ৮ লক্ষ বাঙালির ভোট  মমতা পাবেনই পাবেন।