কেরলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, চলছে উদ্ধার
এই মুহূর্তে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ৫৮টি দলও কাজ করছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ৬৭টি হেলিকপ্টার, ২৪টি বিমান, ৫৪৮টি মোটর বোট। এছাড়া প্রচুর লাইফ জ্যাকেট, বয়া, রেনকোট, গামবুট ইত্যাদি সরঞ্জাম পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টি থেমেছে। জল নামতে শুরু করেছে বেশকিছু জায়গায়। তবে এর্নাকুলাম ও ত্রিশূরের বহু জায়গাই এখনও জলের তলায়। এরমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় চারশো ছুঁইছুই। বর্ষণের জেরে প্রবল সঙ্কটে পড়েছে রাজ্যের পর্যটন শিল্পও।
তখন গভীর রাত, তাতেও উদ্ধারের কাজ থামেনি। অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উপকূল রক্ষী বাহিনী। কেরালার থিরুভাল্লায় আটকে পড়া একের পর এক দুর্গত বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। কেরলে মোট চার বাহিনীর নেতৃত্বে চলছে উদ্ধার কাজ। এবার এক নজরে দেখে নিন উদ্ধারকার্যের গতি প্রকৃতি-
*ভারতীয় উপকুল রক্ষীবাহিনী (অপারেশন রাহাত)- ২টি সিজি হেলিকপ্টারে নাগাড়ে উদ্ধারকার্য চলেছে। এরসঙ্গে চলছে ত্রাণ বণ্টন।
* ভারতীয় সেনা (অপারেশন সহযোগ)- ১২০০ পার্সোনাল উদ্ধার কাজে নেমেছে।
* ভারতীয় বায়ুসেনা (অপারেশন করুণা)
* ভারতীয় নৌসেনা (অপারেশন মদত)
এই মুহূর্তে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ৫৮টি দলও কাজ করছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ৬৭টি হেলিকপ্টার, ২৪টি বিমান, ৫৪৮টি মোটর বোট। এছাড়া প্রচুর লাইফ জ্যাকেট, বয়া, রেনকোট, গামবুট ইত্যাদি সরঞ্জাম পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে খাবার, দুধ, পানীয়, জল, ওষুধ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও পড়ুন- কেরলে বৃষ্টি থামার পর জলবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা
রেল জানিয়েছে, ইরোদ, মাদুরাই হয়ে তিরুবনন্তপূরম পর্যন্ত ট্রেন চলছে। টেলি যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র। বন্যা বিধ্বস্ত অঞ্চলে বিনামূল্যে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কোচির সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগও শুরু করা সম্ভব হয়েছে। কোচি নৌঘাঁটি থেকে উড়ানও চালু করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। সোমবারই এয়ার ইন্ডিয়ার প্রথম বিমান নেমেছে কোচিতে। আরও পড়ুন- কেরলের ভয়ঙ্কর এই বিপর্যয়ের কথা আগেই বলেছিলেন এই বিজ্ঞানী
এদিকে, কর্নাটকও বানভাসি। একটানা বৃষ্টিতে বেহাল কোদাগুর পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ছ'জনের। এই মুহূর্তে কয়েক হাজার মানুষ ত্রাণ শিবিরে। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, বৃষ্টি চলবে। সাড়ে তিন হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোগাদু থেকেই ৩১৭ জনকে উদ্ধারকরে ৩১টি ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে সেনা-ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের আড়াই হাজার জওয়ান জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। কিন্ত, এক নাগাড়ে চলা বৃষ্টি ক্রমশই আরও ঘোরালো করে তুলছেন কর্নাটকের পরিস্থিতি। ম্যাঙ্গালোরে সাতসকালে জলের তোড়ে ধসে গিয়েছে রেললাইন। আরও পড়ুন- কেরলের পাশে পশ্চিমবঙ্গ, ১০ কোটি টাকা ত্রাণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার