কেরলের ভয়ঙ্কর এই বিপর্যয়ের কথা আগেই বলেছিলেন এই বিজ্ঞানী
প্রায় এক শতাব্দী এরকম ভয়ঙ্কর বন্যা দেখেনি কেরল। মৃতের সংখ্যা চারশো ছুঁইছুঁই। রাজ্যের ২২ হাজার মানুষ এখন ত্রাণশিবিরে। আশার কথা, রবিবার বৃষ্টির সম্ভবনা কম হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গোটা দেশ থেকেই ত্রাণ দেওয়ার কাজ চলছে কেরলের বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় এক শতাব্দী এরকম ভয়ঙ্কর বন্যা দেখেনি কেরল। মৃতের সংখ্যা চারশো ছুঁইছুঁই। রাজ্যের ২২ হাজার মানুষ এখন ত্রাণশিবিরে। আশার কথা, রবিবার বৃষ্টির সম্ভবনা কম হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গোটা দেশ থেকেই ত্রাণ দেওয়ার কাজ চলছে কেরলের বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য।
এরকম যে ভয়ঙ্কর বন্যা কেরলের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে তা ২০১১ সালেই ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন বিজ্ঞানী মাধব গাডগিল। শুধু তাই নয় গোয়ার জন্যও একই ভবিষ্যতবাণী করেছেন মাধব। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার ওপরে এক বিস্তারিত সমীক্ষা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন মাধব।
আরও পড়ুন-যাত্রীর পিঠের ব্যাগের চেন খুলতেই কপালে ঘাম এল রেলপুলিসের!
কেন এই বিপর্যয়! মাধবের দাবি, প্রকৃতির ভয়ঙ্কর এই রূপের জন্য দায়ি মানুষের অপরিমিত লোভ। মাধব বলেন, গোয়ার জন্য কেন্দ্র বিচারপতি এম বি শাহর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটি দেখিয়েছে কীভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে কেরলে। বিশেষ করে পশ্চিমঘাট পর্বতমালায়। শুধু তাই নয়, কমিটি দেখিয়েছে শুধুমাত্র গোয়ায় অবৈধ খনি থেকে খনিজ উত্তোলনের ফলে ৩৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে চোরাকারবারিরা। খুব কম বিনিয়োগ করে এই ব্যবসায় বিপুল লাভ করা যায়।
পশিমঘাট পর্বতমালার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মাধব বলেন, মানুষের লাগামহীল মুনাফার লোভ থামাবার কোনও চেষ্টা হয়নি। এর ফলে সমাজেও আর্থিক বৈষম্যও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাকিয়ে রয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যালের দিকে।
আরও পড়ুন-কলকাতায় স্পিড লিমিট ভাঙলে এবার যেতে হতে পারে জেলে
গোয়ায় লোহার খনিজ উত্তোলন নিয়ে বিস্তারিত পরিসরে কাজ করেছেন বিজ্ঞানী মাধব গাডগিল। ২০১১ সালেই তিনি সাবধান করেছিলেন খনিজ উত্তোলন কোম্পানিগুলি সরকারকে ভুয়ো এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট দেয়। প্রতিক্ষেত্রেই অবৈধ খননের ফলে কীভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। গোয়ার সমতল এলাকায় বহু নদীর নামই নেই ওই অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টে। খনিজ উত্তোলনের ফলে বহু জায়গার নদীর প্রাকৃতিক গতিপথ রুদ্ধ করে বিপদ বাড়িয়েছে।