বিরোধী স্বর চাপা দিতেই ৫ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার, ভিমা-কোরেগাঁও মামলায় মন্তব্য বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
ভিমা-কোরেগাঁও কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন সামাজকর্মী ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেরা, ভেরনন গঞ্জালেস ও গৌতম নওলখা। তাদের গত ২৯ অগাস্ট থেকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভিমা-কোরেগাঁও মামলার রায় দিতে গিয়ে বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতিদের সঙ্গে দ্বিতমই পোষণ করলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। শুধু তাই নয় পুনে পুলিসকে সতর্ক করে দিলেন বিচারপতি।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ভিমা-কোরেগাঁও কাণ্ডে পাঁচ সমাজকর্মীর গ্রেফতার ভিন্নমত চেপে দেওয়ার চেষ্টা। ভিন্নমত প্রকাশ করার প্রবণতাই সুস্থ গণতন্ত্রণের লক্ষণ। ওই পাঁচ সমাজকর্মীর বিচার যদি উপযুক্ত তদন্ত ছাড়া হয় তাহলে তা গণতন্ত্রের কোনও অর্থ থাকবে না।
আরও পড়ুন-ভিমা কোরেগাঁও মামলায় আদালতে ধাক্কা খেলেন বুদ্ধিজীবীরা
ভিমা-কোরেগাঁও হিংসার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিস অভিযুক্ত হিসেবে একাধিক নাম সামনে এনেছে। বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, পুলিস গ্রেফতারি নিয়ে একাধিকবার সাংবাদিক সম্মেলন করেছে, সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর খবর দিয়েছে। তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করলে এমন কিছুই ক্ষতি হত না। কেউ যখন অভিযোগ আনে, অভিযুক্তরা প্রধানমন্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল তখন তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত। কিন্তু তা হলে উপযুক্ত প্রমাণপত্র ছাড়া এরকম কোনও অভিযোগ আনা যায় না।
উল্লেখ্য, ভিমা-কোরেগাঁও কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন সামাজকর্মী ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেরা, ভেরনন গঞ্জালেস ও গৌতম নওলখা। তাদের গত ২৯ অগাস্ট থেকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন-শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়, সব মহিলাদের জন্যই খুলে গেল সবরীমালার দরজা
শুক্রবার মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২ বিচারপতি বলেন, সরকারের রিরোধিতা করার জন্য নয়, ৫ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে।
ওই মামলায় ৫ সমাজকর্মীকে গ্রেফতারের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি মামলার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করার নির্দেশও দেয়নি আদালত। একইসঙ্গে ওইসব অভিযুক্তদের গৃহবন্দি দশা আরও ৪ মাস বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছে।