বিক্ষোভের মধ্যেই খুলল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ
অধ্যাপক ভগবত্ স্বরূপ শুক্ল বলেন, “এটি আধুনিক সংস্কৃত বিভাগ। শাস্ত্র এবং বেদের উপর জোর দেওয়া হয়। অধ্যাপক ফিরোজ খান এই দুই বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: দু’সপ্তাহ পর খুলল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ। তবে, পড়ুয়াদের বিক্ষোভ অব্যাহত। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ওই বিভাগ খোলা হয় অধ্যাপকদের উপস্থিতিতেই। তবে, পড়ুয়াদের একাংশ জানিয়ে দেন, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।
দাবি কী? সংস্কৃত বিভাগে নিয়োগ হওয়া মুসলিম অধ্যাপক ফিরোজ খানকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন পড়ুয়ারা। অন্যদিকে ফিরোজ খানের সমর্থনে পাল্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন একদল পড়ুয়া। “ডঃ ফিরোজ খান আপনার সঙ্গে আছি” এই ব্যানারে মিছিলও বের হয়। প্রফেসর নিয়োগ বিতর্কে দ্বিধাবিভক্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষামহলও। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একাংশ ফিরোজ খানের নিয়োগ প্রতিবাদে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
অধ্যাপক ভগবত্ স্বরূপ শুক্ল বলেন, “এটি আধুনিক সংস্কৃত বিভাগ। শাস্ত্র এবং বেদের উপর জোর দেওয়া হয়। অধ্যাপক ফিরোজ খান এই দুই বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ।” তিনি যে বিএইচইউ-র ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, আশাবাদী অধ্যাপক স্বরূপ শুক্ল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও গলদ নেই বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন- নির্বাচনী বন্ডকে ‘আর্থিক কেলেঙ্কারি’ ঘোষণা করা হোক, মোদীকে নিশানা করে দাবি কংগ্রেসের
গত ৫ নভেম্বর সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ হন ফিরোজ খান। এখনও পর্যন্ত ক্লাস করাতে পারেননি তিনি। ফিরোজের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত কোনও অবস্থায় বদল হবে না। দেশের অন্যতম সংস্কৃত পণ্ডিত প্রফেসর রাধাবল্লভ ত্রিপাঠি বলেন, এই পোস্টের জন্য ফিরোজই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বিবেচিত হয়। স্বার্থ চরিতার্থের জন্য কিছু মানুষ সমস্যা তৈরি করছে, যা বরদাস্ত করবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।