নিজস্ব প্রতিনিধি : অনেকবার হাত জোর করে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। এদিকে, অর্থের অভাবে দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। নিজের এক ফালি জমিতে চাষ করার খরচও জোগাতে পারছিলেন না জওহর রাই। বিহারের মাকদুমপুর গ্রামে নিজের খানিকটা জমিতে ভুট্টা চাষ করতেন জওহর। আর বাকি সময়টা কাজ করতেন অন্যের জমিতে ভাগচাষী হিসাবে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে চরম আর্থিক সঙ্কটে ছিলেন রাই। চাষের জন্য মাঠে বলদ লাগানোর টাকাও হাতে ছিল না। তাই শেষমেশ নিজের দুই ছেলেকেই বলদ হিসাবে ব্যবহার করতে হল জওহরকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  সোপিয়ানে দেখা মিলল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কুখ্যাত জঙ্গি নাভিদ জাটের ছবি


দেশের কৃষকদের অবস্থায় উন্নতির জন্য সরকারের তরফে হাজারো প্রতিশ্রুতি শোনা যায়। কিন্তু জওহরের ঘটনা প্রমাণ করে, বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের চাষীদের অবস্থা এখন আগের মতো তিমিরেই রয়েছে। জওহর বলছিলেন, ''আর কিছুদিন অপেক্ষা করলে জমিরর আদ্রতা চলে যেত। তখন আর ভুট্টা চাষই করতে পারতাম না। তাই বাধ্য হয়ে এরকম করতে হল। নিজের ছেলেদের দিয়ে বলদের কাজ করাতে কার ভাল লাগে! কিন্তু অনেকের কাছে সাহায্য চেয়েও লাভ হয়নি। বাড়িতে আর কিছু বিক্রি করে জীবন চালানোর মতো অবস্থা ছিল না। এইটুকু জমির বাইরে আমাদের আর কিছুই নেই। ওটাই শেষ সম্বল।''



মকদুমপুর গ্রামের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা রাই। পরিবারকে নিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটেই জীবন কাটে এই চাষীর। কখনও অন্যের জমিতে কাজ করে, কখনও নিজের এক ফালি জমিতে ভুট্টা চাষ করে দিন গুজরান হয় তাঁর। কিন্তু এবছর জমিতে চাষ করার মতো টাকাটুকুও তাঁর ছিল না। মাকদুমপুরে রাইয়ের এক প্রতিবেশী বলছিলেন, ''ছোট ছোট জমিতে ট্রাক্টর কাজে লাগিয়ে চাষ করে লাভ নেই। আর ভাগচাষীরা ট্রাক্টরের পয়সা জোগাবেই বা কোথা থেকে! তাই জওহরকে নিজের ছেলেদের দিয়েই এমন কাজ করাতে হল। ওর পরিবার প্রচণ্ড আর্থিক দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় চাষীরা সাধারণত ভাগচাষীদের কোনও সাহায্য করে না।'' রাই ও তাঁর ছেলেদের জমিতে চাষ করার ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। সারা দেশ থেকে সহানুভূতির বন্যা বইছে তাঁদের জন্য। সঙ্গে দেশে কৃষকদের দুরাবস্থা নিয়ে নিন্দার ঝড়ও চলছে।