Rail Track Theft: ব্রিজ-টাওয়ারের পরে এবার আস্ত রেললাইন চুরি বিহারে; দোকানে পাওয়া গেল ট্র্যাক
জানা গিয়েছে, এই কেলেঙ্কারিতে রেলওয়ে পুলিসের একাধিক কর্মকর্তার জড়িয়ে থাকার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায়, ঝাঁঝাড়পুর স্টেশনের RPF ইনচার্জ এবং মধুবনি স্টেশনের রেলওয়ে পুলিস অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টির তদন্তের জন্য বেশ কয়েকজন সিনিয়র অফিসারের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিহারে ব্রিজ, মোবাইল টাওয়ারের পর এখন উধাও হতে শুরু করেছে রেল লাইন। ঘটনাটি মধুবনীর পান্ডৌল থানা এলাকার লোহাট চিনিকলের। পান্ডৌল স্টেশন থেকে লোহাট মিল পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রেলপথ চুরি হয়েছে। মিলটি বন্ধ হওয়ার পর এর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টেন্ডার ছাড়াই রাতারাতি কোটি টাকার আবর্জনা বিক্রি করেছে চোরেরা। কোটি টাকার এই স্ক্র্যাপ কেলেঙ্কারিতে বিস্মিত প্রশাসনও। ২৪ জানুয়ারী সকালে যখন কিছু লোক এখানে পৌঁছায়, তখন এলাকা খালি ছিল এবং ট্র্যাকগুলি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
জানা গিয়েছে, এই কেলেঙ্কারিতে রেলওয়ে পুলিসের একাধিক কর্মকর্তার জড়িয়ে থাকার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনায়, ঝাঁঝাড়পুর স্টেশনের RPF ইনচার্জ এবং মধুবনি স্টেশনের রেলওয়ে পুলিস অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টির তদন্তের জন্য বেশ কয়েকজন সিনিয়র অফিসারের একটি দল গঠন করা হয়েছে। দুই কর্মকর্তা ছুটি নেওয়ার পর কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Maharashtra: মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের আবেদন বিরোধী জোটকে, শরদ পাওয়ারের কাছে কী চাইলেন তিনি?
বহু বছর আগে পূর্ব মধ্য রেলওয়ে এই রেলপথটি তৈরি করেছিল। কিন্তু মিলটি বন্ধ থাকায় এই রেললাইনে কোনও ট্রেন আসতো না। এই ট্র্যাকটি স্ক্র্যাপ হিসাবে নিলাম করার কথা ছিল, কিন্তু নিলামের আগেই দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাকটি অদৃশ্য হয়ে যায়। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আধিকারিকদের যোগসাজশেই বেআইনিভাবে ট্র্যাক স্ক্র্যাপ বিক্রি করা হচ্ছে। তদন্তের সময় এই ট্র্যাকটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: FIR Against Yoga Guru Ramdev: উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে যোগগুরু রামদেবের বিরুদ্ধে এফআইআর...
ট্র্যাক চুরির ঘটনায় আরপিএফ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এর পাশাপাশি, ঝাঁঝাড়পুর রেলওয়ে স্টেশনের থানার ইনচার্জ শ্রীনিবাস এবং মধুবনি স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ জমাদার মুকেশ কুমার সিংকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরপিএফ এবং রেলওয়ে ভিজিল্যান্সের দল গোটা বিষয়টির তদন্ত করছে।