নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবা বন্দি জেলে। মা মারা গিয়েছে জন্মের ১৫ দিনের মাথায়। জেল চত্বরেই একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিল বছর ছয়েকের ছোট্ট মেয়েটা। সংশোধনাগার পরিদর্শনে গিয়ে মলিন ফ্রক পরা ছোট্ট মেয়েটিকে দেখেন জেলাশাসক। মেয়েটির দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। নিজের গাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে ভর্তি করালেন স্কুলে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর জেলায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিলাসপুরের জেলাশাসক পদে কর্মরত ওই আধিকারিকের নাম সঞ্জয় আলাং। তিনি জানান, গত মাসে বিলাসপুর সেন্ট্রাল জেলের মহিলা ওয়ার্ডের পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই জেল চত্বরে মেয়েটিকে মহিলা বন্দিদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখেন তিনি। সঞ্জয় আলাঙ বলেন, "আমি তত্ক্ষণাত্ মেয়েটির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে তার কথা জানতে পারি। ওর পড়াশুনার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।" 


যেমন ভাবা তেমন কাজ। সময় নষ্ট না করে মেয়েটিকে তুলে নেন নিজের গাড়িতে। ছত্তিশগড়ের বেশ সুনাম রয়েছে জৈন ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের। সেখানেই তাকে নিয়ে যান সঞ্জয় আলাং। সরকারি আমলা অনুরোধ ফেরায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়ানোর ভার নিতে রাজি হয়েছে তারা। 



সঞ্জয় আলাঙয়ের এমন হৃদয়স্পর্শী কাজ নজর কেড়েছে সারা দেশের মানুষের। ঘটনাটি টুইট করেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি লেখেন,"এই ধরনের মানবিক কাজের মাধ্যমেই প্রশাসনের উপর মানুষের বিশ্বাস তৈরি হবে। ওনার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।" 



তবে এখানেই শেষ নয়। এর পরে আবার বিলাসপুর সেন্ট্রাল জেলে ফিরে আসেন সঞ্জয়। জেল চত্বরের অভিভাবকহীন আরও ১৭টি শিশুর দেখভাল ও পড়াশুনার ব্যবস্থা করেন। জেলার শিক্ষা আধিকারিককে ওই শিশুদের বিনামূল্যে পড়াশুনার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। 


আরও পড়ুন- কৈরানার পর মেরঠ? ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে হিন্দু পরিবারগুলি, তদন্তের নির্দেশ যোগীর