জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো। প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগস্ট বিলকিসের এগারো জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়। এই এগারো জনের সাজা মকুব করার সপক্ষে শীর্ষ আদালতে গুজরাত সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, তারা জেলে ‘ভাল আচরণ’ করত। এবার শীর্ষ আদালতের কাছে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছেন বিলকিস বানো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, ৪ রাজ্যে ৬ বউ! কলকাতায় পালানোর পথে 'বৈবাহিক কীর্তি' ফাঁস বিহারের যুবকের


এর আগে সুপ্রিম কোর্টে গুজরাত সরকারের কৌঁসুলি হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, দোষী সাব্যস্ত হওয়া এগারো জন চোদ্দ বছর জেল খেটেছে। তাছাড়া জেলের ভিতর তারা ভাল ব্যবহার করত। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এবার ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আরেকবার বিবেচনা করে দেখুক শীর্ষ আদালত, আবেদন করেছেন বিলকিস বানো।


২০০২ সালে গুজরাতে গ‌োধরা-পরবর্তী দাঙ্গার সময় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করেন এই এগারো জন। বিলকিসের মেয়ে-সহ পরিবারের ৭ জনকে তাঁর চোখের সামনেই খুন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছেন বিলকিস বানো। প্রসঙ্গত, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও এই আবেদন জানিয়েছিলেন। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই মামলার শুনানির আবেদন করেছেন বিলকিসের আইনজীবী।


এদিকে বিলকিস বানো মামলায় দুটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। মূল পিটিশনের পর গত ২১ অক্টোবর একটি নারী সংগঠনের পক্ষ থেকেও পিটিশন দাখিল করা হয় এই রায়ের বিরুদ্ধে। বিচারপতি অজয় ​​রাস্তোগি এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের একটি বেঞ্চ এই পিটিশনটিকে মূল পিটিশনের সঙ্গে যুক্ত করেছে। উভয় আবেদনের শুনানি হবে একসঙ্গে, এমনটাই সূত্রের খবর। শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই 'ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন'-এর দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানি করছে।


আরও পড়ুন, Shraddha Walker Murder: হ্যাঁ আমিই খুন করেছি শ্রদ্ধাকে! স্পষ্ট স্বীকারোক্তি অনুতাপহীন আফতাবের


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)