নিজস্ব প্রতিবেদন- জনতাই ঠিক করবে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন কি না! সাম্প্রতিক সময়ে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমন সাহস দেখাননি হয়তো। তিনি বিপ্লব দেব। একদিকে যেমন বেফাঁস মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে থাকেন, তেমনই দুঃসাহস দেখাতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। আগরতলায় বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবকে হঠানোর স্লোগান তুলেছিলেন। তার পরই বিপ্লব দেব জনতার দরবারি হাজির। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার অধিকার তাঁর আছে কি না তা বিচার করবে জনতা। তিনি জনগণের মত নেবেন। তাও প্রকাশ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৩ ডিসেম্বর আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে বিপ্লব দেব জনগণের মত নেবেন। দুপুর ২টো নাগাদ তিনি সেখানে হাজির হবেন। তার পর উপস্থিত জনগণের কাছে জানতে চাইবেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর উপর সবার আস্থা ও ভরসা আছে কি না! জনগণ কী বলে, তার উপর নির্ভর করবে তাঁর ভবিষ্যত। অর্থাত্, ত্রিপুরার জনগণ যদি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার রায় দেয়, তা হলে তিনি তা মেনে নেবেন নির্দ্বিধায়। সাম্প্রতিককালে এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নেননি কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন-  আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি! বুধবার দিল্লির সিংঘু সীমান্তে বৈঠকে দেশের ৪৩ কৃষক নেতা


বিপ্লব দেব এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে কোনওরকম আপোস করবেন না। রাজ্যে মাদক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধেও তাঁর লড়াই জারি থাকব। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাম জমানার অবসান ঘটানোর পর নির্দিষ্ট নীতি নিয়ে চলছে তাঁর সরকার। তবে হাজার সমস্যার মধ্যে দিয়ে তিনি পথ খুঁজে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতি-আদর্শ মেনে তিনি সরকার চালাচ্ছেন। তবুও বিরোধীদের স্লোগানে তিনি কষ্ট পেয়েছেন। তাই এবার তিনি জনতার দরবারে যাবেন।