নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিমানে সোনা নিয়ে আসার অভিযোগ খারিজ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক। সোমবার রাজধানীতে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেনকে পাশে বসিয়ে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত প্রশ্ন তোলেন, কার নির্দেশে পুলিস বিমানবন্দরের ঢোকার সাহস পেল। বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগে ঢোকার এক্তিয়ার স্থানীয় পুলিসের নেই বলে দাবি করেন স্বপনবাবু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন শাহনওয়াজ হুসেন প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে হবে স্যুটকেসের ভিতর কী রয়েছে। কেন শুল্ক আধিকারীকদের তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করার অভিযোগও নিয়ে আসে বিজেপি।


সারদা থেকে স্যুটকেস বিতর্কে প্রভাব খাটাতে পুলিসকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে এ দিন স্বপন দাসগুপ্ত অভিযোগ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, কেন এত দিন পর এই খবর প্রকাশ্যে এল? তাঁর অভিযোগ, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ভোটের মরসুমে পুলিস নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলে দাবি তাঁর। উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, ব্যাংকক থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে আসার সময় অভিষেকের স্ত্রীর ব্যাগ থেকে বিধিবহির্ভূত কিছু জিনিস পাওয়া যায়। গত কাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমার স্ত্রীর ব্যাগে নিষিদ্ধ কোনও বস্তু থাকলে তা কেন আটক করলেন না শুক্ল দফতরের আধিকারিকরা। কেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল?” অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, 'ক্ষমতা থাকলে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করুক কাস্টমস ও সিআইএসএফ। ২ গ্রাম সোনা দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।'


আরও পড়ুন-  ক্ষমতায় এলে দেশের ২০ শতাংশ গরিব পরিবার পাবে বছরে ৭২,০০০ টাকা: রাহুল


অভিষেক বলেন, 'আমার স্ত্রী চিকিত্সার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন। সে প্রমাণ আমার কাছে আছে। ফেরার সময় দীর্ঘক্ষণ এয়ারপোর্টে আটকে থাকায় তাঁকে সহযোগিতার জন্য ১০ মিনিটের জন্য এক মহিলা কন্সটেবলকে পাঠানো হয়। কাস্টমসের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ একেবারে মিথ্যে।' অভিষেকের দাবি, অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা করাতেই তাঁর ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী ওই রাতে বিমানবন্দরে পুলিস পাঠানোর অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।