উত্তর প্রদেশের গড় রক্ষায় ৪০ তারকা প্রচারককে মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী ময়দানে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। লোকসভায় ৮০টি আসন। ২০১৪ সালে মোদী ঝড়ে ওই রাজ্যে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল সপা-বসপা-কংগ্রেস।

পাঁচ বছর ঘোরার পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে জোট বেঁধেছেন সপার অখিলেশ যাদব ও বসপার মায়াবতী। কংগ্রেসও একা বিজেপির সঙ্গে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ময়দানে নামানো হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর কন্যা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে।

লড়াই কঠিন বুঝতে পেরে ঠিক লোকসভা নির্বাচনের মুখে নতুন রণকৌশল তৈরি করল ভারতীয় জনতা পার্টি। গেরুয়া শিবিরের তরফে তৈরি করা হল ৪০ জন তারকা প্রচারকের একটি তালিকা।

প্রত্যাশিতভাবেই তালিকার প্রথম নামটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও তারকা প্রচারকদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, পাঁচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, নিতিন গড়কড়ি ও উমা ভারতী-সহ আরও অনেকে।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে ৭১টি আসন জিতেছিল বিজেপি। ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল সহযোগী আপনা দল। সমাজবাদী পার্টির দখলে গিয়েছিল মাত্র ৫টি আসন। কংগ্রেসের তরফে জিতেছিলেন শুধুমাত্র সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। কোনও আসনেই জিততে পারেনি বহুজন পার্টি।

যদিও বিরোধীরা পরবর্তী পাঁচ বছরে সেই ধাক্কা অনেকটাই সামাল দিতে পেরেছে। মাঝের বেশ কয়েকটা উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু তার জন্য হাত মেলাতে হয়েছে সপা-বসপাকে।

তাই লোকসভা নির্বাচনেও অখিলেশ-মায়াবতী জোট লড়াই করছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর প্রদেশের অধিকাংশ আসনে জিততে মরিয়া বিজেপি।

তার উপর বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের দুজন উত্তর প্রদেশ খেকেই লড়াই করছেন। বারাণসী থেকে লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর লখনউ থেকে লড়াইয়ে নামছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।

তাই উত্তর প্রদেশের এবারের নির্বাচন বিজেপির জন্য সম্মানরক্ষার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে।