নিজস্ব প্রতিবেদন: অমিত শাহ বলছেন, আড়াইশো। মন্ত্রীদের কেউ বলছেন, সরকার এখন কিছুই জানাচ্ছে না। কেউ আবার বলছেন, আড়াইশো সংখ্যাটা নেহাতই অনুমান। আরেক মন্ত্রীর আবার মত কোনও ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি। বালাকোটে নিহত জঙ্গিদের সংখ্যা নিয়ে বিজেপি নেতাদের কথায় চরম বিভ্রান্তির সুর। পুলওয়ামা-কাণ্ডের পর বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে বায়ুসেনা। কিন্তু, বোমায় কতজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে? এই প্রশ্নেই এখন সরগরম জাতীয় রাজনীতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


খোদ বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, তিনি নিহত জঙ্গির সংখ্যা বলার জায়গায় নেই। হামলার সময় জইশ শিবিরে কতজন ছিল, তার ওপরই নির্ভর করছে নিহত জঙ্গির সংখ্যা। বায়ুসেনা যখন চুপ তখন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কিন্তু বলে দিয়েছেন, খতম আড়াইশো জঙ্গি। ২৬ ফেব্রুয়ারি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর নানা সূত্রে পাওয়া খবরে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, দুশো থেকে তিনশো জঙ্গি খতম। তবে এনিয়ে একাধিক বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সংশয় প্রকাশ করা হয়। প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরাও। এরপরই, আড়াইশো জঙ্গির মৃত্যুর কথা বলে বিতর্ক বাধিয়ে বসেন বিজেপি সভাপতি।


আরও পড়ুন- মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, লোকসভা নির্বাচনে নয়া স্লোগান বিজেপির


অমিত শাহ যখন বলছেন আড়াইশো তখন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং বলছেন এটা শুধুই অনুমান। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলছেন, সরকারের তরফে জঙ্গিদের লাশের হিসেব তিনি দিচ্ছেন না। আরেক মন্ত্রী এস.এস আলুওয়ালিয়া আবার বলছেন, বালাকোট হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতিই হয়নি। রাজনৈতিক মহল বলছে সামনেই ভোট। তার আগে এই বিভ্রান্তি মোটেই আশ্চর্যের নয়। তবে, এসবের মধ্যেই সূত্রের খবর, বালাকোটে হামলার সময়, জঙ্গি ঘাঁটিতে তিনশোটি সক্রিয় মোবাইল কানেকশন ছিল বলে জানিয়েছে এনটিআরও। গোয়েন্দা সূত্রেও সেখানে তিনশো জঙ্গি আছে বলে জানানো হয়।