নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াল শিবসেনা। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে একহাত নিল বাল ঠাকরের দল। জানিয়ে দিল, লোকসভা নির্বাচনে ফায়দা তোলার জন্য এই সব ইস্যু তৈরি করছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত রাজীব কুমারকে জেরার পরিকল্পনা : সিবিআই সূত্র


গত কয়েকমাস ধরেই শিবসেনার একাধিক নেতাকে নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে। তবে এদিন কোনও নেতা একথা বলেননি। বরং এই মত প্রকাশিত হয়েছে শিবসেনার মুখপত্র সামনায়। সেখানে এই সঙ্কটকে গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদ বলেও ব্যাখ্যাও করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, সিবিআই-কলকাতা পুলিশের এই লড়াই শুরু হয়েছে রবিবার সন্ধ্যা থেকে। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআই আধিকারিকদের ঢোকার চেষ্টাকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমার বাধে।


আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা অভিযোগের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট


কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রতিবাদে ধরনায় বসেন। সেই ধরনায় কার্যত সমর্থন করে শিবসেনার মুখপত্র সামনার সম্পাদকীয় প্রতিবেদনটি ছাপা হয়।


সেখানে লেখা হয়েছে, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে দু'মাস আগেই সিবিআইয়ের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। প্রয়োজনীয় নোটিশ নিয়ে সেখানে যাওয়া উচিত ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ব্যুরোর আধিকারিকদের।


আরও পড়ুন: ‘নৈতিক জয় হল সিবিআইয়ের’ পাল্টা দাবি আইনমন্ত্রী রবিশঙ্করের


শিবসেনার মত, সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে যাঁরা জড়িত, তাঁদের কাউকে ছাড়া উচিত নয়। তবে চার বছর ধরে এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই কী করছিল, সেই প্রশ্নই তুলেছে উদ্ধব ঠাকরের দল।


পাশাপাশি শিবসেনা মনে করে এই ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ করা উচিত। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নরেন্দ্র মোদীর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে মত প্রকাশ করেছে তারা।


আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের


কিন্তু কেন এমন করছে বিজেপি। সেই ব্যাখ্যাও মিলেছে শিবসেনার মুখপত্রের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে। তাদের বক্তব্য, উত্তর ভারত থেকে পশ্চিম ভারত মহারাষ্ট্র পর্যন্ত বিজেপি একশো আসন যোগাড় করতে পারবে না। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে ১০-১৫টি আসন জিততে চাইছে তারা। সেই কারণেই এই গোলমাল পাকানো হচ্ছে বিজেপি।