নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ আস্থা ভোটে শক্তিপরীক্ষা করবেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েও আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। এর পর কাবেরী দিয়ে অনেক জল বয়েছে। লোকসভায় নির্বাচনে কংগ্রেস-জেডিএস-কে কার্যত হোয়াইট ওয়াশ করে ২৮ টি আসনের একাই ২৫টি জেতে বিজেপি। বিএস ইয়েদুরাপ্পা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, নির্বাচনের শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই সরকার ফেলে দেব। তা করে দেখালেন দু’মাসের মধ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গতকাল স্পিকার রমেশ কুমার দলত্যাগ আইনে ১৪ বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধায়ক পদ বাতিল করেন। এর আগে আরও ৩ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। যার ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে পথ আরও সুগম হল বিজেপির। অন্য দিকে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোটের সরকার গড়ার কোনও সম্ভাবনাই রইল না।    


উল্লেখ্য, বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া ওই ১৭ জন আগামী চার বছরে মন্ত্রী হওয়া তো দূর ভোটে লড়ার ক্ষমতা হারালেন। এর জন্য স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য সাধুবাদ জানান কংগ্রেস-জেডিএস নেতারা। সিদ্দারামাইয়া বলেন, লোভী রাজনীতিকদের জন্য কড়া বার্তা পৌঁছল। স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের কাছে দৃষ্টান্ত তৈরি হল বলে মনে করছেন জেডিএস নেতারা। উল্লেখ্য, এর আগে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফাপত্র নিয়ে স্পিকারের বিরুদ্ধে গরমসীর অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাবে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু এ দিনের সিদ্ধান্তে স্পিকারের বিরুদ্ধে বিজেপি আপাতত কোনও পদক্ষেপ করছে বলে সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন- দুর্ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের নিগৃহীতা


স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে ২২৫ আসনের (একজন মনোনীত সদস্য ও স্পিকার) কর্নাটকে মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ২০৮। দু’দফায় ১৭ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়। যার ফলে এই মুহূর্তে ম্যাজিক ফিগার দাঁড়াচ্ছে ১০৫। বিজেপির নিজের বিধায়ক রয়েছে ১০৫। এক নির্দল বিধায়কের সমর্থনে বিজেপি অনায়াসে সংখ্যগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।