নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতাহাতি, জুতো পেটা, ঘুষি এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। এ ভাবেই প্রকাশ্যে পারস্পরিক বিবাদে জড়ালেন উত্তর প্রদেশের দুই বিজেপি নেতা। এক জন লোকসভার সাংসদ শরদ ত্রিপাঠী। অন্য জন উত্তর প্রদেশের বিধায়ক রাকেশ বাঘেল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তৈরি ‘হিন্দু যুববাহিনী’র কর্মকতাও তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বুধবার বিজেপির জেলা সমন্বয়ের বৈঠক চলছিল। এলাকার কাজকর্ম এবং প্রকল্প রূপায়ন বিষয়ে চলছিল আলোচনা। উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিজেপি কর্মকর্তা, আমলা, পুলিস অফিসার এবং সাংবাদিকও। একটি রাস্তার শিলান্যাসে কেন সাংসদের নাম রাখা হয়নি প্রশ্ন তোলেন শরদ ত্রিপাঠী। জবাবে বিধায়ক রাকেশ বাঘেল জানান তাঁরই নির্দেশে ওই নাম রাখা হয়নি। ক্ষেপে ওঠেন সাংসদ শরদ ত্রিপাঠী। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যেই হঠাত্ জুতো দিয়ে মারার হুমকি দেন বিধায়ক রাকেশ বাঘেল। তত্ক্ষণাত্ পাল্টা সাংসদ জুতো খুলেই পেটাতে শুরু করেন বিধায়ককে।



মার খাওয়ার পর রাকেশ বাঘেলও উত্তম-মধ্যম পেটান সাংসদকে। দুই জনপ্রতিনিধির এমন আচরণে হতভম্ব বৈঠকের অন্যান্য ব্যক্তিরা। মধ্যস্থতায় নামেন পুলিস অফিসার। ততক্ষণে সাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি ওই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠে।


আরও পড়ুন- সাধারণ মানুষের উপর হামলার ফল ভালো হবে না, পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের


৪৭ বছর বয়সী বিজেপি নেতা শরদ ত্রিপাঠী সন্ত কবীর নগরের সাংসদ। টুইটারে তাঁর প্রোফাইলে লেখা, ‘নেশন অলয়েস কামস ফাস্ট।’ অন্য দিকে মেনদওয়ালের বিধায়ক ৫২ বছর বয়সী রাকেশ সিং বাঘেল যোগী আদিত্যনাথের তৈরি ‘হিন্দু যুব বাহিনী’র সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের এই বিবাদ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বিজেপি নেতৃত্বদের।