নিজস্ব প্রতিবেদন : জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের এক বছর পূর্তিতে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তারই মাঝে আবারও সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক বিজেপি নেতার। এই নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে জম্মু ও কাশ্মীরের ৪ জন বিজেপি নেতাকে খুন করল সন্ত্রাসবাদীরা। শেষ হামলাটি হয়েছিল মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃত সজদ আহমেদ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলার বিজেপি সংগঠনের সহ-সভাপতি ছিলেন। শ্রীনগর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কুলগাঁওতেই তাঁর বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এখনও কোনও জঙ্গী সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুলগাঁও থেকেই সম্প্রতি নিখোঁজ হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। তাঁকে সন্ত্রাসবাদীরা অপহরণ করেছে বলে মনে করছে ভারতীয় সেনা। 


চলতি সপ্তাহেই মঙ্গলবার সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে গুরুতর জখম হন জম্মু ও কাশ্মীরের আরেক বিজেপি নেতা আরিফ আহমেদ। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি।


গত মাসেই বিজেপি নেতা শেখ ওয়াসিম বারি এবং তাঁর বাবা ও ভাইকে ভরসন্ধ্যায় গুলি করে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। ওয়াসিম বারি জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপুর জেলা বিজেপির সভাপতি ছিলেন। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামের একটি নতুন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিসের মতে, এটি আসলে জইশ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের একটি নতুন শাখা। 


ওয়াসিম বারির মৃত্যুর পরেই ভয়ের চোরাস্রোত বয়ে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক মহলে। শুধু বিজেপিই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃত্বও প্রাণের আশঙ্কায় ভুগছেন। আর তার মধ্যেই মৃত্যু হল আরও এক বিজেপি নেতার। 


চলতি বছর জুন মাসে একইভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা অজয় ভারতীকে। স্পষ্টতই, একের পর এক রাজনৈতিক নেতৃত্বই এখন টার্গেট সন্ত্রাসবাদীদের।
আরও পড়ুন : "দেশে করোনা আক্রান্ত ১৯ লক্ষ পার, মানুষ রুজিহীন, এসব বিষয়ে পরেও ভাবা যাবে"