গান্ধীভক্ত বিজেপি নেতা! ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পা ধুয়ে কাজ হাসিলের চেষ্টা
স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সুরেশ ধস। তার পর বিজেপি কর্মীদের সহায়তায় ম্যানেজারের পা ধুয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রকাশ্যে তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানজারের পা ধুয়ে দিলেন। সবার সামনেই ব্যাঙ্ক ম্যানজারকে ধন-সম্পত্তির দেবতা হিসাবে পুজো করলেন। ম্যানেজারের গলায় মালা পরালেন। তাঁর পা ধুয়ে তাতে ফুল দিলেন। মহারাষ্ট্রের বিড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি নেতা সুরেশ ধসের এমন কাণ্ডে অবাক সবাই। একটি ২৪ সেকেন্ডের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে দেখা যাচ্ছে সুরেশ এসবিআই ব্রাঞ্চ-এর ম্যানেজার-এর পা ধুয়ে দিচ্ছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, চাষীদের সমস্যা সমাধানের জন্যই বিধান পরিষদের সদস্য সুরেশ ধসকে এমন কাজ করতে হয়েছে। তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কোনওরকম তর্কাতর্কি করেননি। বরং তিনি তাঁর পা ধুয়ে দিয়ে কাজ হাসিল করার চেষ্টা করেছেন।
এদিন স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সুরেশ ধস। তার পর বিজেপি কর্মীদের সহায়তায় ম্যানেজারের পা ধুয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন। তার পরই তিনি ম্যানেজারের কাছে আবেদন করেন, চাষীদের ঋণ প্রদানের ফাইল যেন দ্রুত পাস করে দেওয়া হয়। কারণ সময় মতো হাতে টাকা না পেলে চাষীরা বিপদে পড়বেন। বীজ বুনে চাষ শুরু করার নির্দিষ্ট সময় থাকে। বীজ কেনা ও অন্য কাজকর্মের জন্য সেই সময় চাষীদের টাকার প্রয়োজন হয়। ব্যাঙ্ক যদি ঋণের টাকা সময় মতো না দেয় তা হলে চাষীদের অন্য কোথাও থেকে চড়া সুদে টাকা নিতে হবে। যদিও ম্যানেজার জানিয়েছেন, অনেক ফাইল জমা পড়েছে। ভেরিফিকেশন করে ফাইল ছাড়তে সময় লাগবে। এতে তাঁর কিছুই করার নেই। কারণ ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া দীর্ঘ।
আরও পড়ুন- ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ৩ মাসে ডিলিট হয়েছে ২.২৫ কোটি পোস্ট, কংগ্রেসকে পাল্টা জবাব ফেসবুকের
বিড় জেলায় ২৫ লাখ লোকের বাস। তার মধ্যে ৮০ শতাংশ চাষবাসের উপর নির্ভরশীল। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে এখনও পর্যন্ত ১৫০০ ফাইল জমা পড়েছে। তার মধ্য তিনি সবে ৪০০ ফাইল পাস করত পেরেছেন। এদিকে ফসল ফলানোর সময় চলছে। ফলে টাকা পেতে দেরি হল চাষীরা আর নির্দিষ্ট সময় চাষাবাদ শুরু করত পারবেন না। সুরেশ তাই চাষীদের হয়ে ম্যানেজারের কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে এর আগে সুরেশ আবেদন করা সত্ত্বেও ম্যানেজার কথা কানে তোলেননি। তাই এবার তিনি গান্ধীভক্ত হয়ে তাঁর পা ধুয়ে কাজ হাসিলের চেষ্টা করলেন।